আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক মানছে না, কারণ তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি হবে : নজরুল ইসলাম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমেরিকার ভিসানীতির কারণে সরকার বিপদে আছে বোঝা যায়। পত্রিকা পড়লে দেখা যায় তারা চাপাবাজি করে। বহুজনের ছেলে-মেয়েরা আমেরিকা যেতে পারছে না।, বহুজনের ছেলে-মেয়েরা ফিরে আসতেছে। বড় বড় সরকারি কর্মকর্তা ভিসার দরখাস্ত দিয়ে রিজেক্টেড হয়ে যাচ্ছে। তাদের বাড়িতে বাড়িতে ক্রন্দন চলছে। আর বাইরে এসে গলাবাজি করছে- এসব স্যাংশন আমরা পরোয়া করি না। পরোয়া না করলে এভাবে সারাদিন কথা বলছেন কেন। আপনারা ভয় পেয়ে গেছেন। কিন্তু ভিসা স্যাংশনের কারণে আমরা লজ্জিত জাতি হিসেবে। সরকার পতনের একদফা দাবিতে আজ বিকালে রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন একদফার।৯৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক ছিল না। আওয়ামী লীগের দাবির কারণে তত্ত্বাবধায়ক সংযোজন করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক মানছে না। কারণে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি হবে। তিনি বলেন, আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম করেছে। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সব গণতান্ত্রিক দল দাবি করেছে- এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।
তিনি বলেন, ২৬ বছর আগে বিএনপি করার কারণে বিচারপতি কেএম হাসানের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায়নি আওয়ামী লীগ। এখন কেন আমরা আওয়ামী লীগ সভাপতির অধীনে নির্বাচন মানবো। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমাদের দাবি ন্যায্য, জনগণ আমাদের পক্ষে আছে। সবাই পরিবর্তন চায়। এই সরকারের পতন অবশ্যই হবে। পুরো গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই সরকারকে দেখতে চায় না। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিমউদ্দিন আলম, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের ভুইয়া জুয়েল প্রমুখ।