একই জায়গা থেকে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দেখতে চলুন কুয়াকাটায়
একই জায়গা থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা, ম্যানগ্রোভ বন আর বালুকাময় সমুদ্র সৈকত দেখতে ঘুরে আসতে পারেন পর্যটন নগরী কুয়াকাটা থেকে। এই পর্যটন স্থানটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হলেও ধীরে ধীরে আগ্রহ বাড়ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও বিদেশি পর্যটকদের।
নিরাপত্তাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে কুয়াকাটাও হতে পারে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান।
সমুদ্রের নীল জলরাশি থেকে উঁকি দেয়া দিনের প্রথম সূর্য জীবনের নতুন প্রভাতের কথা মনে করিয়ে দেয়। আর তা দেখতে আপনাকে যেতে হবে গঙ্গামতি পয়েন্টে ফজরের আজানের পরপরই। তাহলে দেখবেন সাগরের বুক চিরে সূর্যোদয়। আবার সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখা যাবে সৈকতের যে কোনো জায়গা থেকে।
কুয়াকাটার গঙ্গামতি বা কাউয়ার চরের বালুকাবেলায় সূর্যের তাপ বাড়ার সাথে সাথে ব্যস্ততা বাড়ে লাল কাঁকড়ার। নতুন দিনের সাথে সাথে জীবন যুদ্ধেও নামতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। সাত সকালেই মাছ ধরার কাজে তাই তাদের এই ব্যস্ততা।
যে কুয়োর কারণেই এই অঞ্চলের নামকরণ, কুয়াকাটা সেরকম অসংখ্য কুয়োও দেখে আসতে পারেন। বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনাও রয়েছে মিশ্রিপাড়ায়। ৩০ ফুট উচ্চতার এই মূর্তিটি এক সময়ে ছিল দেশের সর্ববৃহৎ বুদ্ধ মূর্তি। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পর্যটকদের তাই আগ্রহ এই মন্দিরটিকে ঘিরে।চরের জীবন বৈচিত্র্য আর প্রকৃতির পাশাপাশি কুয়াকাটার ১৮ কিলোমিটারের সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগের অপার সুযোগ রয়েছে এখানে।
বেলা গড়িয়ে এক সময় বিকেল, পরে সন্ধ্যা। পশ্চিম আকাশে ঢলে পরা সূর্যের লালচে রঙ। দিন শেষে সূর্যকে বিদায় দিতে সৈকতে ভিড়। দৃষ্টি শেষ আলোক রেখাটি পর্যন্ত। একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার এই সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র এই সমুদ্র সৈকতে। তাই আপনিও ঘুরে আসতে পারেন এই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে।