পাঁচটি সিটি করপোরেশনে জিতেও কেন স্বস্তি নেই আওয়ামী লীগের
অবশেষে জাতীয় নির্বাচনের আগে মিনি নির্বাচনের পরীক্ষা শেষ হলো। পাঁচটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এই নির্বাচনে চারটিতেই জিতেছে আওয়ামী লীগ। শুধুমাত্র যে আওয়ামী লীগ জিতেছে এটা বললে ভুল হবে। আওয়ামী লীগ জিতেছে নিরঙ্কুশভাবে। কার্যত গাজীপুর ছাড়া কোথাও তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দীতাই তৈরি হয়নি। আওয়ামী লীগের এই নিরঙ্কুশ জয় আওয়ামী লীগকে স্বস্তি দিতে পারেনি। বরং এই নির্বাচনের পর অনেকগুলো প্রশ্ন সামনে এসেছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে যে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব তা প্রমাণের জন্য এই নির্বাচন ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই পরীক্ষায় আওয়ামী লীগ ফেল করেছে।
গাজীপুর নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা হেরেছিল। সেখানে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল বেশি। নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম অভিযোগ ছিল না কারো। কিন্তু বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে মারপিটের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। ওই নির্বাচন শুধু নয়, রাজশাহী এবং সিলেটের নির্বাচনও বর্জন করে। আর এর ফলে রাজশাহী এবং সিলেটের নির্বাচন উত্তাপহীন, একঘেয়ে একপেশে হয়ে পড়ে। এর ফলে ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে যে উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল সেটাও নুয়ে যায়।
বিএনপি বলেছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেও তারা কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপির যারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাদেরকে আজীবন বহিষ্কারও করা হচ্ছে। এরকম একটি বাস্তবতায় এই নির্বাচন বিএনপির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। চ্যালেঞ্জটা ছিলো এরকম যে, বিএনপি প্রমাণ করতে চায় যে তাদের দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন, উত্তাপহীন এবং অংশগ্রহণ বিহীন হয়। সে ক্ষেত্রে প্রথম তিনটি সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু রাজশাহী এবং সিলেটে ভোটার উপস্থিতির হার তেমন বেশি ছিল না। আর এটি আওয়ামী লীগের অস্বস্তির কারণ।