প্রধান উপদেষ্টাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। গতকাল শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপে শুভকামনা ব্যক্ত করেন এবং আশা করেন যে, দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্য তাদের জনগণের সুবিধার জন্য যথেষ্ট সহযোগিতায় রূপান্তরিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ফোন কল এবং তার কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিনন্দন বার্তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শরিফকে ধন্যবাদ জানান। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের বন্যা দুর্গতদের জন্য পাকিস্তানের জনগণের সহানুভ‚তি ও সংহতি জানিয়ে একটি বার্তা পাঠানোর জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা স¤প্রসারণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের পরামর্শ এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের মতো প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি সার্ক প্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে সার্ককে একটি শীর্ষ আঞ্চলিক ফোরাম হিসেবে পুনরুজ্জীবিত করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। তিনি নিয়মিত সার্ক সম্মেলন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সার্কভূক্ত রাষ্ট্রের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকের আয়োজনের ওপর জোর দেন।
ড. ইউনূস দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং জনগণের মধ্যে সংযোগ জোরদার করারও আহŸান জানান।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপরই বিলুপ্ত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। পরে ছাত্র-জনতার দাবির মুখে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং ১৬ জনকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট মোঃ সাহাবুদ্দিন।