সাজেকে রাষ্ট্রপতি অবস্থানকালেই পাহাড়ি দুই সংগঠনের ‘বন্দুকযুদ্ধ’, গুলিবিদ্ধ শিশু
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন সাজেকে অবকাশযাপনের সময়ই এবার রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের গণ্ডারামছড়া এলাকায় সশস্ত্র পাহাড়ি দুটি গ্রুপের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসিত ও জেএসএস সন্তু লারমা দলের সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ সংঘটিত হয়। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ সংঘটিত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সাজেক ইউনিয়নের সিয়ালদাহ লুই এলাকার মেম্বার জোপ্পুইথাং ত্রিপুরা গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুপুর ৩টা থেকে থেমে থেমে আনুমাণিক ২৫০-৩০০ রাউন্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এসময় গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে ঘরে যাওয়ার পথে রোমিও ত্রিপুরা গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিজিবি’র সিয়ালদাহ লুই বিওপিতে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাজেক রুইলুই অস্থায়ী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।গুলিবৃদ্ধ রোমিও ত্রিপুরা গণ্ডারামছড়া এলাকার ফবেন ত্রিপুরার ছেলে।
সাজেক থানার সার্কেল অফিসার ও রাঙ্গামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল গোলাগুলির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আহত শিশুটির চিকিৎসার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন তিন দিনের অবকাশযাপনে সাজেক অবস্থান করছেন। ফলে সাজেকসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি সম্পূর্ণ নিরাপদ আছেন বলেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএমের মধ্যে ভয়াবহ এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকের মাচালং ব্রীজ পাড়ায় ইউপিডিএফ এর দুই সদস্য দীপায়ন চাকমা ও আশিষ চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তবে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য জেএসএস সন্তু লারমার দলকে দায়ী করে ইউপিডিএফ।