আপনি প্রতিদিনই কি একটু একটু করে মরে যাচ্ছেন?

0
die
Array

মৃত্যুর থেকে অনিবার্য সত্য আর কিছুই হয় না। এই দার্শনিক তত্ত্বকে মনে রেখেও আমরা মৃ্ত্যুকে ঘিরে ফেলি কথা-কল্পনা-কিংবদন্তিতে। তাকে ঘিরে কেউ রচনা করেন রোম্যান্স, কেউ বা মৃত্যুকে একটা ভয়ের ব্যাপার বলেই ধরে নেন। আর এসবের ঊর্ধ্বে উঠলে বিগতস্পৃহরা কেমন একটা বিভ্রান্ত চোখে তাকান মৃত্যুর প্রসঙ্গে উঠলে। এখানে মৃত্যু সম্পর্কে এমন কিছু সত্যের সন্ধান দেয়া হলো, যার অনেকটাই আমাদের দৈনন্দিনের ধারণার বাইরে। (এই তথ্যগুলি পপুলেশন রেফারেন্স ব্যুরো এবং সিআইএ-র ‘ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক’-এর থেকে গৃহীত)

১. পৃথিবীতে হৃদরোগেই বেশিরভাগ মানুষ মারা যান।
২. কমবয়সী পুরুষদের অধিকাংশই মারা যান দুর্ঘটনায়।
৩. অল্পবয়সী মহিলাদের অধিকাংশই মারা যান সন্তান প্রসব করতে গিয়ে।
৪. প্রতি বছর প্রতি ১০০০ জনে ৮ জন মারা যান।
৫. প্রতি সেকেন্ডে যত শিশু জন্ম নেয়, তার দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
৬. মৃত্যুর চার ঘণ্টা পরে দেহের পেশিগুলিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সংকোচন ঘটে। দেহ শক্ত হতে আরম্ভ করে। একে ‘রিগর মর্টিস’ বলে। কিন্তু ৩৬ ঘণ্টা পরে রিগর মর্টিস উধাও হতে শুরু করে।
৭. মৃত্যুর পরে অগ্ন্যাশয় ও পাচনতন্ত্রের অন্যান্য অংশ হজমের সহায়ক এনজাইমে পূর্ণ হয়ে যায়। এতে ওই অঙ্গগুলিই ‘হজম’ হয়ে যেতে শুরু করে। তার পরে পুরো দেহতেই এই প্রক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এর নাম ‘অটোলাইসিস’।
৮. মৃত্যুর পরে নখের বৃদ্ধি ঘটে না।
৯. ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মৃতদেহে লেগে থাকা পোকার চরিত্র দেখে মোটামুটিভাবে বলতে পারেন মৃত্যু ঠিক কতক্ষণ বা কত দিন আগে হয়েছে।
১০. প্রতিদিনই ‘খানিকটা করে মারা যাচ্ছি’ আমরা সবাই। প্রতিদিন দেহে প্রায় ৫০ বিলিয়ন কোষের মৃত্যু হয়।

About Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat