উদীয়মান ভালোবাসা

0
love
Array

সকালের সোনালী রৌদ্রর আলোর ছটায় ঝিলিমিলি করছে ঘর টা। জানালার পাশে বাদাম গাছের ফাঁক দিয়ে রৌদ্রএসে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয় রুবির।গত বর্ষায় দুটি কাকের বাসা ছিল বাদাম গাছের ডালে।আগে প্রায় প্রতিদিনজানালা দিয়ে বাসা টা বৃষ্টির পানিতে ভিজ তে দেখত রুবি ।দুটি ছানা হয়ে ছিল। মা কাক প্রতিদিন খাবার এনে ছানা দুটিকে খাওয়াত।এর কিছুদিন পর ছানাও কাক দুটিকে আর দেখা গেল না। অনেক প্রতিক্ষার পরও ছানা আর
কাকদুটি ফিরে এলো না বাসায়।শুন্য বাসা পড়ে ছিল।এক লোক এসে বাসাও ডাল কেটে ফেলে।

এসব ভাবতে ভাবতে ধড়ফড় করে উঠে বসে রুবি।তার আজ মাহিনের সাথে দেখা করার কথা। আজ তাদের বাহিরে বেড়ানোর প্রথমদিন।যদিও দীর্ঘ দুই বছর ধরে মাহিনের সাথে তার একটা ভাললাগার সম্পর্ক থাকলেও তা খোলাসা হয়নি এতদিনেও।কিছু দিন আগে তাদের সম্পর্ক টা পোক্ত হলেও তা ছিল অফিসের চার দেয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাইআজই প্রথম বাহিরেদেখা করার প্লান করে দুজনেই। তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে তাকে।এসব এলোমেলো ভাবনায় সে বিছানা থেকে উঠে বসলো।মাহিন যে ইমোশোনাল,কোন কিছু মনের মত না হলে রাগ করে থাকবে তারপর তার রাগ ভাংগাতে অনেক সাধ্যসাধনা করতে হবে।হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয় রুবি।আলমারী থেকে সারিসারি
জামা কাপড়,শাড়ি নামায় কোনটা পড়বে স্থির করতে পারে না। একবার ভাবে মাহিন কে জিজ্ঞেস করে পরমূহুর্তে তা ভয়ে বাতিল করে। অবশেষে আড়ং থেকে কেনা হলুদ রং এর জামা পছন্দ করে,জামার সাথে মানান সই সাজ গোজ করে।প্রতিটি ক্ষেত্রেই রুবি খেয়াল রাখে মাহিন পছন্দ করবে কি না, সবসময় ই সে মাহিনের ভাললাগাকে প্রাধান্য দেয়।নির্ধারিত সময়ের আগেই রওনা হয় রুবি কারন দেরী হলে মাহিন ভীষণ রাগ করতে
পারে।পথে যাওয়ার সময় গোলাপের দোকান থেকে সুন্দর একটা গোলাপ কিনল মাহিনকে উপহার দেওয়ারজন্য।দূর থেকে মাহিন রুবি কে দেখে কাছে আসে।দূজন দুজনের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকায়। দুজনের চোখেই যেন হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ঝরে পড়ে।কাছে এসে মাহিন বলে কতক্ষণ দাড়িয়ে আছি তোমার জন্য বাইকে উঠ। রুবি বাইকে উঠলেই জোরে স্পিড দিয়ে বাইক চালায় মাহিন।এ পথ সে পথ ঘুরে তারা ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের কাছে একটু নিড়িবিলি জায়গা দেখে বাইক থামায়।বাইক থেকে নেমে রুবিকে হোন্ডার উপর বসিয়ে মাহিন আইস ক্রিম কিনতে যায়।আইসক্রিম নিয়ে বাইকের উপর বসেই তারা খেতে লাগল।রুবি ব্যাগ থেকে মাহিনের জন্য কেনা গোলাপ বের করে মাহিনকে উপহার দিয়ে বলে তোমায় অনেক ভালোবাসি।মাহিনও তার পকেট থেকে সুন্দর লাল রংএর গোলাপ রুবিকে উপহার দিয়ে বলে তোমায় আমি অনেক ভালো বাসি রুবি।দূটিমন দুজন মানুষ রাস্তার সোডিয়াম লাইটের আলোয় কাছে আসে।মাহিন আলতো করে রুবির কপালে চুমু দিয়ে বলে আমি সারাজীবন তোমার পাশে থাকব।স্ট্রিট লাইটের আলোয় রুবিকে অপূর্ব লাগছিল।মাহিন মুগ্ধচোখে রুবির দিকে তাকিয়ে থাকে।কিছুদিনের মধ্যেই তাদের সম্পর্ক টা গভীর হয়।দুজন দুজনকে ছাড়া থাকতে পারে না। একদিন মাহিন রুবিকে তার বাসায় নিয়ে যায়।রুবি মাহিনের ফ্লাটে ঢুকে দেখে বাসায় কেউ নেই।মাহিন রুবিকে কাছে টানতে চায় আদর করতে চায়।নিড়িবিলি বাসা পেয়ে মাহিন রুবিকে জরিয়ে ধরে ঠোঁটে চুমুখায়। ভালোবাসার আবেশে আর ভয়ে রুবি কাঁপতে
থাকে। মাহিন রুবির ভয় পাওয়া বুঝতে পেরে রুবিকে বুকে শক্ত করে চেপে ধরে রাখে।অভয় দেয়। রুবি ভয় নেই বুঝতে পেরে মাহিনের বুকে মাথা রাখে।আর বলে তুমি আমাকে এতো ভালোবাস?মাহিন বলে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।তোমার এতটুকু ক্ষতি করবোও না আর হতেও দিব না। আমার জীবন দিয়ে হলেও আমি তোমাকে সারা জীবন আগলে রাখবো।মাহিনের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে রুবি ঘরে ফিরে।দুজনের সারাদিন ফোনে মেসেন্জারে কথা হয়।রুবির নিজেকে অনেক সুখী মনে হয়। মাহিনকে পেয়ে তার জীবন পরিপূর্ণ হলো।

অফিস থেকে তিনদিনের টুরে মাহিনকে চট্টগ্রামপাঠানো হয়।যাবার বেলায় রুবি মাহিন কে বলে তোমাকে ছাড়া আমি কিভাবে থাকবো।আমার যে অনেক কষ্ট হবে।উওরে মাহিন বলে লক্ষিমেয়ে সারাদিন ফোনে মেসেন্জারে কথা হবে।সত্যি তাই মাহিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে রুবির সাথে ফোনে যোগাযোগ রাখে।ছবি তুলে পাঠায় রুবির আর একাকী লাগে না। তিনদিন পর যখন মাহিন ফিরে এলো মাহিনকে দেখেই রুবি মাহিনের বুকে ঝাপিয়ে পড়লো।মাহিনের বুকে মাথা রেখে নিজেকে শান্ত করলো।এইসুযোগে মাহিন পকেট থেকে একটা আংটি রুবির হাতে পরিয়ে দিয়ে রুবির কপালে চুমু খেল।আংটি হাতের আংগুলে পড়ানোর পর রুবি হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষন দাড়িয়ে রইল।তারপর ঝুপ করে নিচু হয়ে মাহিনকে সালাম করলো।মাহিন বললো আরে কি কর তোমার স্থান আমার বুকে।মাহিনের বুকে মাথারেখে রুবি বললো আংটি পড়িয়ে দিলে আমি তো তোমার হবু বৌ হয়ে গেলাম।মাহিন বললো তুমি তো আমার বৌ।এভাবেই তাদের দিন গুলো ভালোই চলছিল।একদিন এই অফিসেরই এক প্রাক্তন অফিসার রুবির সাথে অফিসের এক প্রয়োজনে দেখা করতে আসলো।অফিসের একথা সেকথার পর মাহিন আর তার রুমে পাশে বসা সুন্দরী শিরিনের মধ্যে সম্পর্কে র একটা ইংগিত দিল।এবং তাদের চোখেচোখে রাখার কথা বলে গেল। আরো বলেগেছে শিরিন তার ক্ষতি করতে পারে। একথা শুনার পর রুবির পৃথিবীটা ঘুরতে লাগলো এত প্রেম এত ভালোবাসা সব কি মিথ্যে। কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না সে।শিরিন আর মাহিনের কিছু কিছু আপত্তি কর স্মৃতি চোখের সামনে ভাসছে।যদি সত্যি তাদের মধ্য সম্পর্ক থাকে তাহলে মাহিন কেন তাকে আংটি পরিয়ে দিলো।কেন রুবিকে ভালোবাসার স্বপ্ন দেখালো। ।নাহ রুবি আর কিছু ভাবতে পারছে না। সে বিষয়টা খোলাসা হওয়ার জন্য মাহিনকে জিজ্ঞেস করলো,মাহিন উওরে বললো শিরিন আমার কলিগ এর বেশি কিছু নয়।তুমিই আমার ভালোবাসা।একথা শুনে রুবি মাহিন কে বিশ্বাস করলো আর নিজেকে আস্বত্ব করলো।তার পরও মনের মধ্য একটা অস্বস্তি রয়েই গেলো।এবং খেয়াল করলো মাহিন যদি তার রুমে আসে শিরিন ও তাকে খুজতে আসে,মাহিন যদি অফিস থেকে আগে চলে যায় তো সেও চলে যায়।এসব দেখে আর অফিসের আরো দুচার জনের ওদের নিয়ে ইংগিত পূর্ণ কথা শুনে আর মানষিক চাপ নিতে পারছিলো না। প্রায়ই সে এ বিষয় নিয়ে মাহিনের সাথে ঝগড়া করে।মাহিনও বিরক্ত হয় এ বিষয় বা শিরিনের প্রসংগ তুললে।একদিন তো বলেই বসলো তুমি যদি আমার কথা বিশ্বাস না কর তো যাখুশি তাই করতে পার।একথা শুনে রুবি মাহিনের দেওয়া আংটি টা গালে চেপে কাঁদতে লাগলো।এবং নিজের মনে ভয় ডুকে গেল মাহিন যদি রুবিকে ছেড়ে চলে যায় রুবি কি নিয়ে বাঁচবে?মাহিন শুধু রুবির ভালোবাসা না তার বেঁচে থাকার প্রেরণা।রুবি সিধান্ত নিলো একবার যখন মাহিনকে ভালো বেসে ফেলেছি আজীবন ভালোবাসবো।তার সব কিছু মেনে নিয়েই তাকে ভালোবাসবো।তাছাড়া মাহিনের ব্যক্তিত্ব,মাহিনের সুন্দর চরিএ,মানবিকতা এগুলো মিথ্যে হতে পারে না, তার মানবিকতা সহজ সরল অভিব্যক্তি রুবির প্রতি ভালোবাসা আন্তরিকতা যতটুকু রুবি দেখছে তা রুবিকে ধোকা দিতে পারে না।ঠকাতে পারে না। রুবি মন থেকেই সিধান্ত নেয় সে মাহিন কে বিশ্বাস করবে আর তাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না। জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্তই সে মাহিনের সাথেই থাকবে। এর পর থেকে রুবি ও মাহিনের দিন ভালোই কাটছিলো।দূজনে দুজনকে অনেক সময় দিয়ে বেড়াতে যাওয়া,আদর, ভালোবাসা, যত্ন কোনটারই কমতি রাখেনি মাহিন।রুবির জীবন পরিপূর্ণ হয়েছিল মাহিনের ভালোবাসায়।একদিন মাহিনের রুমে গিয়ে দেখে মাহিন আর শিরিন দুজনেই নাই।সন্দেহ ঘনীভূত হলো পাশের টেবিলের রাজিব,মাহিন আর শিরিনকে নিয়ে ইংগিত পূর্ণ কথায় কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা লাগলো।মনটা খারাপ করে রুবি নিজেরচেয়ার, টেবিলে বসলো নিজের অফিসের কাজে মনোযোগা দেওয়ার চষ্টা করলো।মাহিনকে বারবার ফোন করেওপায় না। হঠাৎ অফিসের একটা ফাইল প্রয়োজন হওয়ায় শিরিনের টেবিলে ফাইলটা খুজতেযায়। ফাইল খুজতে খুজতে ফাইলের একেবারে নিচে একটা মোটা ডাইরি পেল। ডাইরিটা মাহিনকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছিল।ডাইরিটা নিয়ে নিজের রুমে ফিরে আসলো রুবি।যদিও সে জানে অন্যের ব্যাক্তিগত ডাইরি না বলে পড়া ঠিক না তারপরও অদম্য কৌতুহলের কারনে ডাইরিটা মনোযোগ দিয়ে পড়তে লাগলো। ডাইরিতে লেখা গুলোর বিষয় বস্তু হলো এই-মাহিনের সাথে শিরিনের একটা সম্পর্ক ছিল।শিরিন সম্পর্ক টা ভেংগে দিয়েছে মাহিন তার সবকথা আগে শুনেছে এখন আর শুনে না। কলিগের মতোদেখে।প্রেমের সম্পর্ক ভাংগার পর এখন তাদের মধ্যে একটা সুন্দর সম্পর্ক আছে।মাহিন শিরিনের কাছে জানতে চেয়েছিল সে এখনও তাকে ভালোবাসে কি না? শিরিনসম্পর্ক ছিন্ন করে কাটা ক্ষতের মধ্যে ব্যান্ডেজ দিলেই কি ক্ষত ভালো হয়ে যাবে।তাদের দুজনের আবেগও
ভালোবাসার কথা। মাহিন যেন সম্পর্কছিন্ন করায় কষ্ট না পায় ইত্যাদি ইত্যাদি।ডাইরিটা পড়ে রুবির মনে কষ্টের দোলা পাকিয়ে উঠল।কেন মাহিন তার সাথে প্রতারণা করলো? কেন সে বারবার জানতে চেয়েও তাকে বলেনিকিছু। সেতো বলেছিলই তার অতীতের সব কিছু জেনেবুঝে মেনে নিয়েছে তবে সে খোলাসা করে কেন বললো না।

ভাবনার অতলে তলিয়ে গেলো রুবি, তার আর মাহিনের সাথে কাটানো সুন্দর সুন্দর মূহুর্ত চোখের সামনে ভেসে উঠল।মাহিনের এই প্রেম -ভালোবাসা মিথ্যা হতে পারে না। সে হয়তো অতীতের সব ভূলে তাকে নিয়েই সুখী হতেচেয়েছে।নাকি শিরিনের উপর প্রতিশোধ নিতে তার সাথে ভালোবাসার অভিনয় করে গেছে।শিরিনের উপর মাহিনের
একটা চাপা ক্ষোভ আছে সেটা সে আগেই বুঝতে পেরেছিল।সেই ক্ষোভ ঝাড়তেই তার সাথে প্রেমের অভিনয়,নাকি সব মিথ্যে। মাহিন সত্যি তাকে ভালোবাসে।শিরিনের প্রসংগ উঠালেই তো মাহিন রাগ করে। কিন্তু রুবি চায় মাহিন তাকে বলুক কি কারনে তাদের সম্পর্ক ভেংগে গছে।খোলামেলা আলোচনা করুক।মাহিন তার সব কথাই রুবির সাথে আলোচনা করে, রুবি চায় এ বিষয় টা নিয়েও মাহিন তার সাথে খোলামেলা আলোচনা করুক।সে তো সবকিছু সহজ ভাবেই মেনে নিবে। তবে মাহিনের কিসের এতো জড়তা।মাহিন রুবির রুমে এসে দেখে রুবি বিষন্ন মনে বসে আছে।মাহিন রুবিকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে?রুবি উওর দেয় কিছু না। আচছা মাহিন শিরিনের সাথে যে তোমার সম্পর্ক ছিল সে বিষয়টা তুমি আমাকে খোলাসা করে কিছু বলোনি কেন?রুবির প্রশ্নের উওরে মাহিন বলে শিরিন আমার কলিগ ছাড়া কিছু নয়,এই বলে সে রাগ করে উঠেচলে যায়। মাহিন মনেমনে ভাবে রুবি আমি তোমাকে কিভাবে বলি যে,শিরিনের সাথে আমার একটা সম্পর্ক ছিলকিন্তু সেটা আর এখন নেই।শিরিনের সাথে সম্পর্ক টা এখন কলিগ ছাড়া আর কিছু নয়।রুবি কষ্ট পাবে দুরে সরেযাবে ভেবে বিষয় টি নিয়ে সে রুবির সাথে আলোচনা করেনি। অতীতের সব ক্ষত মুছতেই তোসে রুবির সাথে সম্পর্কে জরিয়েছে।তাছাড়া তারমনেও শিরিনের প্রতিএকটা চাপা ক্ষোভ ছিল তাই সে শিরিন কে ভুলতেই রুবির সাথে সম্পর্কে জরিয়েছে।মাহিন সত্যিসত্যিএখন রুবিকে ভালোবেসে ফেলেছে।অতীতের সবভূলে গিয়ে সে রুবিকে নিয়ে নতুন করে বাঁচতে চেয়ছিল।রুবিকেছাড়া সে আর কিছু ভাবতে পারে না। সব কিছু জানলে রুবি যদি তাকে ভুলবুঝে তাই এ বিষয় কোন কথা সে বলতে চায়নি। আবার অনেক সময় বলতে চেয়েও পারেনি বলতে।রুবি নতুন এক কর্পোরেট অফিসে চাকরি পেয়েছে। মাহিনের কাছ থেকে দূরে থাকতে চায় বলে, এ চাকরি টা সে ছেড়ে দিবে।যাবার বেলায় মাহিন কে নিজের রুমে ডেকে নিয়ে আসে। মাহিন চেয়ার টেনে বসতেই রুবি মাহিনকে বলে মাহিন শিরিন কে নিয়ে তুমি আবার নতুন করে জীবন শুরু কর।পারলে ক্ষমা কর অনেক কষ্ট দিয়েছি তোমাকে।তোমাদের বিরক্ত করতে আসবো না কোনদিন।এই বলে সে অফিস থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে এলো।তার দুচোখ দিয়ে দুফোটা অশ্রু গড়িয়ে পরলো। বুকের মাঝে মাহিনের জন্য কষ্ট ব্যাথায়,চিনচিন করছে।সে তো মাহিনের সব কিছু সহজেই ক্ষমা করে দিয়েছিল।মাহিনকে নিয়েই জীবন এগিয়ে নিতে চেয়েছিলো। মাহিনের সুখের জন্যই সে মাহিন কে ছেড়ে চলেএসেছে।তার মাহিন সুখে থাকুক,শান্তিতে থাকুক।টলোমলো ঝাপসা চোখে সে বাড়ির দিকে হাটা দিল।কিছুদূর যাওয়ার পর গলির মোড়ে দেখতে পেল মাহিন একগুচছ গোলাপ হাতে দাড়িয়ে আছে।রুবিকে দেখেই কাছে এসে বললো সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলেই কি সম্পর্ক ছিন্ন করাযায়?আমাদের এতো দিনের ভালোবাসাকে মিথ্যে পরিনত করতেই কি তুমি চলে যেতে চাইছো? তোমাকে আমি কোথাও যেতে দিব না। তুমি থাকবে আমার হৃদয়ে, আমার ঘরের রানি হয়ে।রুবির হাত ধরে দুজনে একটা রিক্সায় উঠে।রুবির হাতে গোলাপ গুচছ দিয়ে রুবির হাত টা শক্ত করে চেপে ধরে।রুবিও অনুভব করে মাহিনের শক্তকরে ধরে রাখা হাত এজীবনে আর তাকে ছেড়ে যাবে না। সূর্য্য তখন পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ছে।সূর্যের রক্তিম আভা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে নীল আকাশ টা রক্তিম হয়ে আছে।ডুবন্ত সূর্য্যের অপরূপ সৌন্দর্যের আভাজনে হাত-ধরাধরি করে দেখছিল।আর তাদের মনের মেঘ কেটে গিয়ে ভালোবাসার সূর্য টা উদীয়মান হচছে আরো বেশি ভালোবাসবে বলে,দুজন দুজনের কাছে থাকবে বলে।

 

About Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat