সঙ্গী কি স্মার্টফোনে বেশি আসক্ত?

0
mobile phone
Array

প্রযুক্তির কারণে একে অপরের সঙ্গে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারছি। বিশেষ করে এখন স্মার্টফোনের ভূমিকা অনেক বেশি আমাদের জীবনে। স্মার্টফোন অথবা অন্যান্য যন্ত্র জীবন অনেক সহজ করেছে ঠিকই। কিন্তু অতিরিক্ত আসক্তির ফলে নানা ধরনের সমস্যারও সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যদি আমাদের আশপাশে লক্ষ করি, আজকাল প্রায়ই দেখা যায় যে হয়তো একসঙ্গে অনেক বন্ধু অথবা পরিবারের সবাই বসে আছেন, কিন্তু সবার হাতে স্মার্টফোন। এতে করে আমরা একসঙ্গে থেকেও অনেক বেশি দূরে।
সঙ্গী হয়তো পাশেই বসে আছেন, কিন্তু স্মার্টফোনে চোখ রাখতে গিয়ে আমরা সঙ্গীর চোখে চোখ রাখতেই ভুলে যাচ্ছি। এমনকি রাতে ঘুমানোর আগেও একবার স্মার্টফোনে নোটিফিকেশন না দেখতে পেলে অস্থির বোধ করেন অনেকে। হয়তো সঙ্গী অনেকক্ষণ ধরে গল্প করতে চাইছেন; কিন্তু স্মার্টফোনে ব্যস্ত থাকার কারণে  তিনি তা পারছেন না। এতে করে তিনি অবহেলিত বোধ করছেন  এবং বিষণ্নতায় ভুগছেন, আমরা হয়তো তা খেয়ালই করছি না। সঙ্গীর মনে এই ভাবনা আসতেই পারে যে আপনি হয়তো তাঁর         সঙ্গে সময় কাটাতে চাইছেন না। এভাবে নিজেকে একসময় তিনি হয়তো অযোগ্য মনে করে বসতে পারেন।
এ ব্যাপারে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকার বলেন, অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে আমাদের সামাজিক, শারীরিক ও ব্যক্তিগত জীবনে নানা ক্ষতি হয়। শারীরিক সমস্যা যেমন ঘাড়ব্যথা, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। অর্থাৎ একটা মানুষের স্বাভাবিক জীবন ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হয়।
স্বামী বা স্ত্রীর অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে দুজন একসঙ্গে থাকার পরেও অনেক বেশি দূরত্ব থেকে যায়। নিজেদের ভেতর সম্পর্কের ভিতটা নষ্ট হয়ে যায়। সঙ্গী নিজেকে খুব বেশি অবহেলিত মনে করেন। এমনকি মনে মনে নিজের যোগ্যতা নিয়েও তাঁর মনে প্রশ্ন জাগতে পারে। বিশেষ করে দাম্পত্য জীবনের গুণগত সময় যে কথাটা থাকে সেটা কমে যায়।

 

কথায় আছে, দাম্পত্য জীবন হচ্ছে প্রতিদিন পরিচর্যার ব্যাপার। সঙ্গীর ছোটখাটো বিষয়গুলো খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। সঙ্গী কী চাইছেন, কোনটি চাইছেন না—এসব ব্যাপার প্রতিনিয়ত খেয়াল রাখার বিষয়। নিজেদের ভেতর এসব ছোটখাটো আনন্দগুলো দিন দিন নষ্ট হয়ে যায় আমাদের অজান্তেই। এতে করে ঝগড়াঝাঁটি বেড়ে চলে। নিজেদের ভেতর দূরত্বের সৃষ্টি হয় এবং সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর। একসময় দেখা যায় বাচ্চারাও স্মার্টফোনের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে।

এসব ব্যাপার মাথায় রেখে আমাদের স্মার্টফোনের ওপর আসক্তি কমাতে হবে। একটা সীমাবদ্ধতা রেখে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে কোথাও একসঙ্গে অনেকে বসে থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার না করা, সঙ্গী যতক্ষণ পাশে থাকেন ততক্ষণ প্রয়োজন না হলে স্মার্টফোন ব্যবহার না করাই উচিত। এসব ব্যাপার মাথায় রেখে আমাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করা উচিত।

সূত্র ফ্যামিলি টাইম

About Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat