ভারতের কেন এত ভয় বাংলাদেশ নিয়ে? বারবার কেন হাসিনাকেই চায় ওরা?

কোন প্রতিবেশির কাছেই ওরা ভালো নয়, প্রতিবেশিদের চাপে রাখা আর সেদেশে দ্বন্দ্ব তৈরি করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। বলছিলাম আমাদের প্রতিবেশি দেশ ফ্যাসিস্ট হাসিনার পরম মিত্র ভারতের কথা। তবে ইদানিং বাংলাদেশ নিয়ে খুব বেশি চুলকানি ধরেছে দাদাবাবুদের। বাংলাদেশ নিয়ে কেন এত বেশি ভাবনা ভারতের? কেনই বা তারা হাসিনাকেই চায় বারবার?
ভারত সবসময়ই তার প্রতিবেশি দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলংকা এমনকি মিয়ানমারের ভিতরেও রয়েছে ভারতের হস্তক্ষেপ। এক্ষেত্রে মূলত তারা ব্যবহার করে থাকে তাদের দেশের বিশেষ বাহিনী ‘র’ কে। প্রতিটি দেশেই ‘র’ এর এজেন্ট রয়েছে যারা কখনো প্রকাশ্যে আবার কখনো গোপনীয়তার সাথে অবস্থান করে দেশগুলোতে।
এদের মূল উদ্দেশ্যই হলো প্রতিবেশি দেশগুলোর ভিতরে দ্বন্দ সৃষ্টি করা। যাতে তারা এসবেই ব্যস্ত থাকে। আর বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের বেশি লাফালাফি করার বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম চায়না ও পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ক। ভারতের ঘোর শত্রু এই দুই দেশ বর্তমান বাংলাদেশের পরম মিত্রে পরিণত হয়েছে। এছাড়া আর একটি কারণ সেভেন সিস্টর্স। মনে পড়ে ড. মোহাম্মদ ইউনূস হাসিনা পালানোর পর প্রথমেই ভারতের এই অংশটি নিয়ে কথা বলেছিলেন?
ভারত ভালো করেই জানে ওরা একটু বারাবারি করলেই ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে পুরো দেশ। সম্প্রতি ভারতের চিকেন নেকের কাছেই লালমনিরহাটে এশিয়ার সবচেয়ে বড় বিমানঘাটি নির্মাণের গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছিলো তা নিয়েও রাতের ঘুম হারাম মোদি সরকারের। ভারত বাংলাদেশের সাথে সরাসরি দ্বন্দে জড়ানো মানে চীন ও পাকিস্তানের সাথেও দ্বন্দ সৃষ্টি করা। একটু খানি কিছু হলেই চিকেন নেক থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারে দাদাবাবুরা।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার কাজই ছিলো ভারতের দালালি করা। ভারতকে শুধু দিয়েই যাওয়া, হাসিনা এমনভাবে ভারতের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করতো মনে হতো দেশটা বোধহয় ইন্ডিয়ারই কোন প্রদেশ। বিশ্বের কোন দেশ হাসিনাকে আশ্রয় না দিলেও দাদারা ঠাঁই দিয়েছে, শুধু এতটুকুতেই ক্ষান্ত হয়নি ওরা হাসিনাকে আবার দেশে ফেরানোর পায়তারা করছে। ভারত সবকিছুই করছে নিজেদের স্বার্থে নিজেদের দেশ রক্ষা করতে।