এলপি গ্যাস-তেলসহ কিছু পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহার

এলপি গ্যাস, তেলসহ বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিছু কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে এবং কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ি পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ তালিকায় থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে— বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেল, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল, ডাল বা ডাল–জাতীয় খাদ্যশস্য। এসব পণ্যের উপর ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর ছিল।সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
এনবিআরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপের অজুহাতে ব্যবসায়িরা দর বাড়িয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে। তারা যাতে এ অজুহাতে বাজারকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্য ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিয়েছে এনবিআর। এরফলে বাজারে বাজারে এসব পণ্যের দাম কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। শর্ষে তেলের উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে, যার কোনো সময়সীমা নেই।
শর্ত সাপেক্ষে এলপি গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসেও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যারা নিজেরা আমদানি করে নিজেরাই ভোক্তার কাছে বিক্রি করেন, তারা ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পাবে না।
এসব পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পেতে কিছু বিধিবিধান মানতে হবে। যেমন ভ্যাট নিবন্ধন, চালান ইস্যু, সব ধরনের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ, মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিল ইত্যাদি করতে হবে।
এনবিআর গত ৯ জানুয়ারি প্রায় একশটি পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছিল। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হলে বিভিন্ন সময়ে এনবিআর প্রজ্ঞাপন কিংবা আদেশ জারির মাধ্যমে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার কিংবা শুল্কের হার কমিয়েছে।