তামিমের হাত ধরে প্রথম শিরোপা বরিশালের

0
Array

২০২২ সালের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে এক রানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল ফরচুন বরিশাল। শেষের নাটকীয়তায় ভাগ্যের কাছেই হার মানতে হয়েছিল তাদের! কাছাকাছি গিয়েও স্বপ্ন ছুঁতে না পারার যন্ত্রণা বছর দুয়েক ধরেই বয়ে বেড়াচ্ছে বরিশাল। অবশেষে আরও একবার ফাইনালে কুমিল্লাকে পেয়ে সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ আসে। এবার ভাগ্য সঙ্গেই ছিল ফরচুনদের। কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল। দলের মতোই অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন তামিম ইকবালও।

শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দশম আসরের ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন অঙ্কন।

জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছে কাইল মেয়ার্সের ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৩৯ রান করেছেন তামিম ইকবাল।

১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মেহেদি হাসান মিরাজ। উদ্বোধনী জুটিতে ৮ ওভারে ৭৬ রান যোগ করে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন তারা। ২৬ বলে ৩৯ রান করে তামিম ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।

ফাইনালে তামিমের অপেক্ষায় দুই রেকর্ড

তামিমের ফেরার পর অবশ্য বেশিক্ষণ আর টিকতে পারেননি মিরাজ। এই মেইকশিফট ওপেনার মঈন আলিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে জনসন চার্লসের হাতে ধরা পড়েন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ বলে ২৯ রান।

দুই ওপেনার ফেরার পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও কাইল মেয়ার্স। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওঠে ৫৯ রান। মূলত এখানেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ফরচুনরা। মেয়ার্স ৩০ বলে ৪৬ রান করে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর মুশফিকও কাটা পড়েছেন আনলাকি থার্টিনে।

তবে জয় পেয়ে খুব একটা সমস্যা হয়নি বরিশালের। বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও ডেভিড মিলার। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৭ রান করে। আর মিলারকে ৮ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। পঞ্চম বলে কাইল মেয়ার্সকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন সুনিল নারিন। এই ক্যারিবিয়ান ওপেনার ৪ বলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি।

নারিন দ্রুত ফেরার পর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন লিটন দাস। তবে হৃদয় উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনফর্ম এই ব্যাটার ১০ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছনে।

হৃদয় ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটনও। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে ১৬ রান। চারে নেমে জনসন চার্লস আশা দেখালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৫ রানে থেমেছেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।

রাসেলের ক্যামিওতে লড়াইয়ের পুঁজি কুমিল্লার

এদিন সুবিধা করতে পারেননি মঈন আলিও। এই ইংলিশ ব্যাটার দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফিরেছেন ৬ বলে ৩ রান করে। ৭৯ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুকছে কুমিল্লা তখন দলের হাল ধরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জাকের আলি অনিক।

অঙ্কনের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৮ রান। অঙ্কন ফেরার পর শেষদিকে ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। এই ক্যারবিয়ান হার্ডহিটার ১৪ বলে করেছেন অপরাজিত ২৭ রান। এরমধ্যে ১৯তম ওভারেই তুলেছেন ২১ রান। অপরাজিত ২০ রানের ইনিংসে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন জাকের আলি।

About Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat