অবরোধে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল, পিকেটিং
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা ষষ্ঠ দফার অবরোধের প্রথম দিন বুধবার বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে।
এদিকে অবরোধ চলাকালে আজ সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলন্ত ট্রনে এলোপাতাড়ি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন যাত্রী আহত হয়েছেন। এছাড়া অবরোধের মধ্যেই রংপুর ও পাবনায় হরতাল হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্ন মামলায় সাজা দেয়ার প্রতিবাদে এই হরতাল পালন করে।
অবরোধের সমর্থনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করেছে। এছাড়া অবরোধের কারণে রাজধানীসহ সারা দেশের যানবাহন চলাচল ছিল খুবই কম। ঢাকার বাস টার্মিনালগুলো থেকে দূর পাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ষষ্ঠ দফায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হবে শুক্রবার ভোর ৬টায়।
অবরোধে রাজধানীতে যান চলাচল কম, যাত্রীদের ভোগান্তি
অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীতে যান চলাচল ছিল অনেকটা কম। কর্মদিবস হওয়ায় লোকজনকে সকালবেলা যানবাহন পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হযেছে। অনেকেই কাঙ্ক্ষিত যানবাহন না পেয়ে পড়েন ভোগান্তিতে।
সড়কগুলোতে কিছু সংখ্যক মিনিবাস চলাচল করলেও তাতে অপ্রীতিকর ঘটনার ভয়ে যাত্রী ছিল কম। এছাড়া লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চলাচল করতে দেখা গেছে, তবে সংখ্যায় কম। এ কারণেই ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
এছাড়া অবরোধের কারণে রাজধানীর বাসটার্মিনালগুলো থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি।
গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। টার্মিনালে বাস
কাউন্টারের শ্রমিকরা জানান, যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না তাই বাস ছাড়া হচ্ছে না।
রাজধানীতে বাসে আগুন
এদিকে অবরোধ চলাকালে বিকেলে রাজধানীর আসাদ গেট এলাকায় একটি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। এ সময় দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক যুবককে আটক করেছে ট্রাফিক পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে সার্জেন্ট পলাশ কুমার রায় দেখতে পান, আসাদগেট সংলগ্ন সেন্ট যোসেফ স্কুলের সামনে প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন এক যুবক। পরে তিনি দৌড়ে তাকে ধরে ফেলেন।
মামুন নামে ওই যুবককে পুলিশ বক্সে নিয়ে যান সার্জেন্ট পলাশ। পরে তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর তাকে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে অবরোধে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যাতে কোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। হরতাল-অবরোধে আমাদের এ অবস্থান অব্যাহত থাকবে।