সারাদেশে সর্বাত্মক অবরোধ পালিত
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর চতুর্থ দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও সোমবার রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। অবরোধে গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল পথে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এছাড়া অবরোধ চলাকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়কে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকায় দু’টি বাসে, নারায়ণগঞ্জে বাসে, ফরিদপুরে বাস ও ট্রাকে, দিনাজপুরে ট্রাকে আগুন দেয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর জানিয়েছে, দুই দিনের অবরোধে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ বাসে আগুন দেয়া হয়েছে।
অন্যান্য দিনের ন্যায় আজও অবরোধের কারণে রাজধানীর কোনো টার্মিনাল থেকে দূর পাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। ঢাকায়ও দূর পাল্লার কোনো বাস পৌঁছেনি। এছাড়া অবরোধ চলাকালে রাজধানী ঢাকায় ছোট ছোট যানবাহন ব্যতীত পাবলিক পরিবহনের বাস চলাচল ছিল সীমিত।
রাজধানীতে বাসে আগুন
অবরোধের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর শনির আখড়ায় মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, শনির আখড়া চৌরাস্তা ব্রিজের ওপরে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুই দিনে ১৪টি যানবাহনে আগুন
চতুর্থ দফা টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দুই দিনে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা দেশে ১৪টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, রোববার (১২ নভেম্বর) থেকে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অবরোধের দুই দিনে দেশব্যাপী ১৪টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি বাস, দু’টি নসিমন ও একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ঢাকা সিটিতে আটটি, ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, সাভার, নারায়ণগঞ্জে একটি করে, বরিশাল বিভাগের বরিশাল সদরে একটি, রাজশাহী বিভাগের নাটোরে একটি, দিনাজপুরে একটি পরিবহনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এসব আগুন নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের ১৪১টি ইউনিটের ৭৭৬ জন কাজ করে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের হিসাবে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত (১৭ দিন) সারা দেশে ১৪৫টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।