বিশেষ শর্তে সিঙ্গাপুর যাওয়ার অনুমতি পেতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবশেষে বিশেষ শর্তে সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেয়া হতে পারে। সরকারের একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র মতে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়া হতে পারে। আইন মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। খুব শীঘ্রই এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে বলে সরকারি দায়িত্বশীল সূত্র গুলো জানিয়েছে। তবে তার আগে তাকে কিছু আইনগত বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হবে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে যে বিশেষ বিবেচনায় জামিনে রয়েছেন, সেটি প্রথমে বাতিল করতে হবে। এটি বাতিল হলে তাকে কারাগারে যেতে হবে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া যেহেতু এখন গুরুতর অসুস্থ, এ জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যেখানে তিনি অবস্থান করছেন সেটিকেই বিশেষ কারাগার ঘোষণা করা হবে। এরপর বিদ্যমান জামিনের আবেদনটি অর্থাৎ বিদেশ যাওয়ার আবেদনটি বিবেচনায় আনা হবে। তবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার কতিপয় শর্ত দেবে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. যে দেশে তাকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে, সেই দেশের বাইরে অন্য কোন দেশে তিনি যেতে পারবেন না।
২. শুধুমাত্র চিকিৎসার জন্যই তিনি বিদেশ যাবেন, চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোন কাজ তিনি সেখানে করতে পারবেন না।
৩. তার চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যাদি সরকারের কাছে নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে।
৪. চিকিৎসা শেষ করে তিনি দেশে ফিরবেন এই মর্মে মুচলেকা দিতে হবে।
৫. একজন জামিনদার থাকবেন যিনি শর্ত ভঙ্গের দায়-দায়িত্ব বহন করবেন।
উল্লেখ্য, একাধিক রোগে আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে। এরকম পরিস্থিতিতে সরকার তার বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, তার লিভার সংক্রান্ত জটিলতাটাই সবচেয়ে মারাত্মক। তার দ্রুত লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা দরকার।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে বেগম জিয়া কারাগারে যান। ২০২০ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুকম্পায় তিনি জামিন এবং চিকিৎসার অনুমতি পান। এরপর থেকেই আস্তে আস্তে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কোন রকম চাপে নয় বরং মানবিক কারণেই তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।