এক সপ্তাহে রিজার্ভ কমল ২৯৭ মিলিয়ন ডলার
এক সপ্তাহে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯৭ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার। ২৭ সেপ্টেম্বর দিন শেষে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশ করা পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক সপ্তাহে আগে অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৪৫২ মিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক মূল্যস্ফীতির ফলে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। কিন্তু সে হারে বৈদেশিক মুদ্রার সমাগম হচ্ছে না। দ্রুত বাড়ছে না বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চায়ন। বাড়তি আমদানি ব্যয় সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া ডলার বিক্রি করে ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দর সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু সে হারে প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয় বা বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ বাড়ছে না, সে হারে বাড়ছে না রিজার্ভ। এর ফলে রিজার্ভ প্রতিদিনই কমেছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক শূন্য ৫৭ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চায়নে থেকে গঠিত বিভিন্ন তহবিল বাদ দিয়ে নেট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫৪ বিলিয়ন ডলার। এক সপ্তাহ আগে ২০ সেপ্টেম্বর গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ৩৩৮ বিলিয়ন ডলার। আর নেট রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৪৫২ বিলিয়ন ডলার।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পর গত ১০ সেপ্টেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক বিলিয়ন ডলার। এর পর সরকারের বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে ডলার বিক্রি করার কারণে প্রতিদিনই কমেছে রিজার্ভ। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।