আমাদের রাজনীতি জনগণের কল্যাণে : প্রধানমন্ত্রী

0
pm-20230903192349-20230903201937
Array

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সরকার গঠনের পর থেকে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। আমাদের উন্নয়নের ধারা একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছে। সংসদ সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

নাটোর-৪ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ও নেত্রকোনা-৪ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে আজ শোক প্রস্তাব তোলা হয় সংসদে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে, আমাদের সংসদের অধিবেশন শুরুই করতে হয় শোক প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে। ভেবেছিলাম এবার বোধ হয় তার থেকে ব্যতিক্রম হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। এই সংসদের ২৮ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। যেখানে ২৬ জনই আওয়ামী লীগের। আর দুইজন জাতীয় পার্টির। এর মধ্যে কয়েকজন নারী সদস্যও রয়েছেন।

আব্দুল কুদ্দুসকে স্মরণ করে তিনি বলেন, আব্দুল কুদ্দুস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগ করতেন। তিনি অত্যন্ত সাহসী ছিলেন। নাটোর ছিল সন্ত্রাসের জায়গা। তিনি সেখানে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও তাকে জবরদস্তি করে হারানো হয়েছিল। তিনি জনগণের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেবেকা মমিনের সঙ্গে আমার ছাত্রজীবন থেকে পরিচয় ছিল। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যখন ছাত্রী তখন থেকেই তিনি আমাকে সবসময় চিঠি লিখতেন। আমিও উত্তর দিতাম। তিনি চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলতেন। আমি কলেজে ভিপি হওয়ার পর চিঠি দিয়ে উৎসাহিত করেন। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন জোট করি, তিনি তার আসনটি বেগম রওশন এরশাদকে ছেড়ে দেন। তিনি যে কত বড় নেতা ছিলেন, যে মুহূর্তে আমি তাকে বললাম জোট করব এ সিটটি ছাড়তে হবে। তিনি এক মুহূর্তের জন্যও আপত্তি করেননি। সঙ্গে সঙ্গে সিটটি ছেড়ে দিয়েছিলেন। না হলে তিনি এখন ওই সিটের এমপি থাকতেন।

বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী হারিয়েছেন উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, তারা যে সংগ্রাম করে গেছেন, জেল-জুলুম অত্যাচার সহ্য করেছেন। তারা জাতির পিতার পাশে ছিলেন। জাতির পিতাকে হত্যার পর তারা নানা অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের রাজনীতি জনগণের কল্যাণে। রেবেকা মমিন বা আব্দুল কুদ্দুস তারা সবসময় জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে রেবেকা মমিন জমি দান করে গেছেন। এই ধরনের মানসিকতা তাদের ছিল। তাদের হারিয়েছি। এটা সত্যি কষ্টের বার বার আমাদের শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে হয়।

তিনি বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর থেকে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। আমাদের উন্নয়নের ধারাটা একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছে। এটা সম্ভব হয়েছে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সংসদ সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছে বলে। আজকে যাদের হারিয়েছি এবং সেখানে নতুন যারা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন, তাদের কাছে আবেদন থাকবে যে আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া।

সরকারের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে পেরেছি। বাংলাদেশকে আরও উন্নত করতে হবে। সেটা সকলকে নিবেদিত প্রাণ হয়ে নিজ নিজ এলাকার মানুষের সেবা করে যাবেন এটাই আমি চাই। মানুষের সেবা করাটাই সব থেকে বড় পাওয়া। এর চেয়ে বড় কিছু নেই।

শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ওয়সিকা আয়শা খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাজ্জাদুর রহমান, শফিকুল ইসলাম শিমুল, আশরাফ আলী খান খসরু, আব্দুল আজিজ, মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

About Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat