ময়মনসিংহে গণমিছিলে বাধা,পুলিশকে জনগণের বিপক্ষে দাঁড় করাচ্ছে সরকার : বিএনপি
কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী মহানগরে কালো পতাকা গণমিছিল পালন করতে গিয়ে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়েছে ময়মনসিংহ নগর বিএনপি। গতকাল বিকালে কালো পতাকা নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাতির কলের মোড় হয়ে টাউন হলের দিকে নেতাকর্মীরা যেতে চাইলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকিয়ে দেয়। এ সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে গণমিছিল শেষ করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় নেতৃবৃন্দ গণমিছিলে বাধা দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সরকারের অন্যায় আচরণ মেনে নেয়া হবে না। সরকার সুকৌশলে পুলিশকে জনগণের আন্দোলনের বিপক্ষে দাঁড় করাচ্ছে। পুলিশের প্রতি জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ না করারও আহ্বান জানান তারা।
এর আগে শনিবার বিকালে ময়মনসিংহ মহানগরের নতুন বাজারে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, ভোট চোর সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণ ঘরে ফিরে যাবে। কারণ সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। আর গণদাবিকে উপেক্ষা করে আবারও একতরফা নির্বাচন করতে গেলে সরকারকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা গণআন্দোলনে ভীত হয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, কালো যেমন শোকের রঙ, তেমনি প্রতিবাদেরও রঙ।
যুগে যুগে বিশ্ববাপী প্রতিবাদ স্বরূপ কালো পতাকা ব্যবহৃত হয়েছে। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে এবং বিএনপি’র আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে তিনি জ্ঞানপাপীর মতো মিথ্যাচার করছেন। মিথ্যার ওপর কোনো ডিগ্রি থাকলে এই ভদ্রলোককে দেয়া উচিত।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী।