পশ্চিমাদের গণতান্ত্রিক নীতি কি আটলান্টিকের ওপারেই থাকে : প্রধানমন্ত্রী
পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেসব দেশের খুনির আশ্রয় দিয়ে রেখেছে, তারা আজ আমাদের নির্বাচন নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। ২০০১ সালের নির্বাচন বা নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে তারা এত উতালা হয়নি। এখন তারা হুট করে নির্বাচন, নির্বাচন পরিস্থিতি, কমিশনের দাড়ি, কমা, সেমিকলন নিয়ে এত উতালা কেন?
বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিদেশীরা হুট করে নির্বাচন, নির্বাচন পরিস্থিতি, কমিশনের দাড়ি, কমা সেমিকলন নিয়ে এত উতালা কে? বাংলাদেশের এই উন্নয়ন মনে হয় তাদের পছন্দ নয়। তাদের গণতান্ত্রিক নীতি কি আটলান্টিকের ওই পাড়েই থাকে।
পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, এদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্টা নয়। এদের একমাত্র উদ্দেশ্য বাংলাদেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করা। এদের উদ্দেশ্য ভূ-রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশকে আক্রমন, অস্থিরতা তৈরী করা। এটাই এদের গণতন্ত্রের জিকিরের প্রধান কারণ। জনগণকে সচেতন হতে হবে। এ অঞ্চলের দেশগুলো বেশ সচেতন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উর্দি পরে ক্ষমতায় এসে, নিজেকে রাজনীতিক বানানোর চেষ্টা, সেনাবাহিনীর সব নিয়ম ভঙ্গ করে নির্বাচন করা। নির্যাতন করে, উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দলে ভিড়িয়ে রাজনৈতিক দল গঠন। আর প্রত্যেক রাতে কারফিউ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের বিনা বিচারে হত্যা করেছিল জিয়া। তখন মানুষের না ছিল ভোটের অধিকার, না ভাতের অধিকার। এই পদাঙ্ক অনুসরন করে এরশাদ আসে, বেগম জিয়া আসে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনিদের জিয়া দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরষ্কৃত করে। আর এরশাদ খুনি ফারুককে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সুযোগ দেয়, খালেদা জিয়া তো ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে খুনিদের বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসায়। আর ৯১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে তার আসল রূপ দেখায়। ১৫ আগস্টকে মিথ্যা জন্মদিন পালন করা শুরু করে। কতবড় বিকৃত মানসিকতা থাকলে এটা করা সম্ভব।