এ বছরের শেষেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন রাজ-শুভশ্রী
দু’পক্ষেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে রাজ আর শুভশ্রীর পরিবারের লোকজনও নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করেছেন। শুভশ্রীর বর্ধমানের বাড়িতে ছেলের পক্ষের লোকজন গিয়েছিলেন। বোঝা যাচ্ছে, দু’পক্ষেরই বেজায় তাড়া।
রাজ-শুভশ্রী প্রেম করছেন, নাকি করছেন না, সেটা নিয়েই বিস্তর ধোঁয়াশা ছিল! কারও মতে লোক দেখানো প্রেম। কারও মতে একেবারে খাঁটি। সে যাই হোক, রাজ চক্রবর্তী আর শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় যে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন এ কথা সত্যি। নভেম্বর মাস নাগাদ চারহাত এক হওয়ার কথা।
বিয়ের পর দম্পতি যেখানে থাকবেন, সেই আস্তানা সাজানোর কাজও চলছে। রাজ এখন থাকেন হাইল্যান্ড পার্কে। শুভশ্রী টালিগঞ্জে। দু’জনে মিলে বাইপাসের দিকের একটি কমপ্লেক্সে ফ্ল্যাট কিনেছেন। সেখানে আপাতত ইন্টিরিয়রের কাজ চলছে।
প্রথমে জুলাই মাস নাগাদ বিয়ের পরিকল্পনা করলেও পরে রাজের ছবি ‘চ্যাম্প’এর কারণে বছরের শেষের দিকে বিয়ের দিন ঠিক করা হচ্ছে। ছবি রিলিজের চাপটা কাটিয়েই বিয়ের আসনে বসতে চান রাজ, জানাচ্ছেন তার ঘনিষ্ঠরা। রাজের পরপর বেশ কিছু ছবি ভালো ব্যবসা করেনি। তাই আপাতত ছবি থেকে ফোকাস সরাতে চান না রাজ।
যদিও তার ফোকাসে এখন শুধুই শুভশ্রী। তবে রাজের ঘনিষ্ঠদের মতে, বিয়ের সিদ্ধান্তটা নাকি দু’জনে একটু তাড়াহুড়ো করেই নিয়েছেন। খুব বেশিদিনের সম্পর্ক নয় তাদের। ‘অভিমান’এর শুটিংয়ের সময়েই দু’জনের প্রেমের শুরু। মিমির সঙ্গে ব্রেকআপটা কাটিয়ে উঠতেই রাজ বোধহয় এত তাড়াতাড়ি প্রেমের সিদ্ধান্ত নিল, বলেছেন রাজের ঘনিষ্ঠ একজন। আরেকজনের মতে, মিমিকে দেখাতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত!
লোকে যাই বলুক, রাজ-শুভশ্রীকে এখন সর্বত্রই একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। যেমনটা, এতদিন রাজ আর মিমিকে যেতো। শুভশ্রী কেরিয়ারের শুরুর দিকে রাজের পরিচালনায় ‘চ্যালেঞ্জ’ করেছিলেন। তারপর এই ২০১৬’তে এসে কাজ করলেন দু’জনে। এবং প্রেমটাও।
রাজ এর আগেও তার নায়িকাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। পায়েল এবং মিমি। দু’জনের সঙ্গেই সম্পর্কের শেষটা বেশ তিক্ততার মধ্যে দিয়েই হয়েছে। দেবের সঙ্গে শুভশ্রীর সম্পর্কের শেষটাও ভালো ছিল না। যদিও দু’জনে সেই ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফের একসঙ্গে ছবিতে কাজ করেছেন।
রাজ আর মিমির ব্রেকআপের কারণ হিসেবে মিমির তুরস্কের একটি বন্ধুকে ‘অনুঘটক’ হিসেবে ধরা হচ্ছিল। যদিও ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের কাছের লোকজনদের মতে, রাজ নাকি সম্পর্কটা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন বলেই, মিমির আপাত বন্ধুত্বকে ‘অজুহাত’ হিসেবে খাড়া করেছিলেন। মিমি কিংবা পায়েলের সঙ্গে সম্পর্কটা রাজ কোনওদিনই প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি। তাই শুভশ্রীর ক্ষেত্রে এত তাড়াতাড়ি তিনি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছেন! তবে পরিচালকের এক ঘনিষ্ঠের মন্তব্য, রাজ এবার সত্যিই ‘সিরিয়াস’!