ভারতীয় ‘গুপ্তচর’দের বিতাড়িত করেছে অস্ট্রেলিয়া
অটোয়া থেকে ওয়াশিংটন। খালিস্তানিপন্থীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় গুপ্তচরদের কার্যকলাপ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তুঙ্গে। এই তালিকায় যুক্ত হলো কোয়াড-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার অস্ট্রেলিয়াও। ভারতীয় গুপ্তচর-সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট সামনে চলে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় ইনিংসের শুরুতেই কূটনৈতিক অস্বস্তি আরো বাড়িয়ে দিলো।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারি প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, নিঃশব্দে ভারতের চারজন গুপ্তচরকে সে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। অভিযোগ, গুপ্তচরেরা অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উপরে সে দেশের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করেই নজরদারি শুরু করেছিলেন। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই চরেরা অস্ট্রেলিয়ার ভারতীয় দূতাবাসে কূটনৈতিক অফিসার সেজে নিজেদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
রণকৌশলগত বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, বিদেশী রাষ্ট্রের দূতাবাসে দু’একজন গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার থাকা বিরাট আশ্চর্যের নয়। প্রত্যেকটি দেশেই এই চল রয়েছে, এবং তা আপাতভাবে গোপন রাখা হলেও অতিথি রাষ্ট্রের সে সম্পর্কে একেবারেই ধারণা থাকবে না, এমন নয়। আবার এই গোয়েন্দা অফিসারদেরও কাজ নিজেদের অস্তিত্ব যতটা সম্ভব গোপন রেখে, সংশ্লিষ্ট দেশে নিজেদের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বা ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না সে ব্যাপারে খোঁজখবর রাখা এবং কূটনৈতিক কর্তাদের সে ব্যাপারে অবহিত করা। এজন্য প্রত্যেকটি রাষ্ট্রেরই পৃথক বাজেট থাকে, যা সামনে আনা হয় না। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থের সঙ্গে সেটি সরাসরি যুক্ত।
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, মনমোহন সরকার বা তার আগের বাজপেয়ী জমানাতেও যে কাজ মসৃণভাবে করত ভারত মূলত পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে, এখন পশ্চিমের দেশগুলোতে খালিস্তানি তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বারবার তাদের পর্দা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে কেন?