কিছু দেশ ও সংস্থা মানবাধিকারের নামে দ্বিচারিতায় লিপ্ত : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সব ধরনের সংঘাতের স্থায়ী সমাধান এবং নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মানবাধিকার শাশ্বত ও সর্বজনীন অধিকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কিছু দেশ ও সংস্থা মানবাধিকারের নামে দ্বিচারিতায় লিপ্ত হচ্ছে।
রোববার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে এ সভার আয়োজন করা হয়। খবর বাসসের।
সব মানবাধিকার সংগঠনকে মানবাধিকার রক্ষায় সদা সজাগ থাকা ও পরামর্শ দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে, সেখানেই মানবাধিকার সংস্থা ও মানবাধিকার কর্মীদের সোচ্চার হতে হবে।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
রাষ্ট্রপতি নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রসহ সমাজ ও রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে মানবাধিকার চর্চা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মহান ব্রত নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু আন্দোলন করেছেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহক ও মহানায়ক। তাঁর মানবাধিকার সংগ্রামের ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ বিস্তার, শিশু ও মাতৃমৃত্যুহার হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থসামাজিক নানা সূচকে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে প্রশংসিত হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কমিশনের সদস্য সেলিম রেজা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।