সংবিধান পরিবর্তনশীল, এটা কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ নয় : আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের সুবিধামতো সংবিধান পরিবর্তন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা এখন সংবিধানের দোহাই দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে আবারো ক্ষমতায় থাকতে চায়।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত ‘সংকট সমাধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, সংবিধানের ৭ ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে সংবিধান হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। যখন জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলাম মিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছিল, তখন বাংলাদেশের শান্তি, শৃঙ্খলা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন বজায় রেখে বেগম খালেদা জিয়া সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস করেছিলেন। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এটা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এককভাবে এটা পরিবর্তন করেছে।
বিচার বিভাগ সংবিধানের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব হচ্ছে সংবিধান, আইনের সুরক্ষা করা। তার কোনোটাই কি তারা করছে? এটা না করে বিচার বিভাগের একটি অংশ রাজনীতিবিদের দায়িত্ব পালন করছে।
বিএনপি এই নেতা বলেন, সংবিধানের উসিলায় আওয়ামী লীগ ভোটচুরির প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে শুধু ভোটের দিন ভোট চুরি হয় না, সারাবছর ধরেই ভোটচুরির প্রকল্প চলে।
আমীর খসরু বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়ে দিতে হবে, তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় বিদেশ পাঠিয়ে দিতে হবে, কারণ তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব না। বিএনপির ৪০ থেকে ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে গায়েবি মামলা দিয়ে জেলে পাঠাতে হবে, কারণ তাদের যে গণতান্ত্রিক স্পৃহা আছে তা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নেই।
সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম।