সেলেসের পর কেভিতোভা
স্টেফি গ্রাফের এক পাগল ভক্তের কারণে মনিকা সেলেসের মতো খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারটা ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৯৯৩ সালে হামবুর্গে সেলেসের পিঠে ছুরি বসিয়ে দেন মানসিকভাবে অসুস্থ গুন্টার পার্চ। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চোট কাটিয়ে উঠলেও মানসিকভাবে কখনোই আর সেই সেলেসকে দেখা যায়নি টেনিস কোর্টে। টেনিস-বিশ্বের আশা, পেত্রা কেভিতোভার ক্ষেত্রে এমন কিছু হবে না! পরশু চেক প্রজাতন্ত্রে নিজের বাসায় ছুরিকাহত হয়েছেন কেভিতোভা।
২৬ বছর বয়সী এই টেনিস তারকার ঘরে চোর ঢুকেছিল। সামনে কেভিতোভাকে দেখে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটি। বাঁ হাত বাড়িয়ে কেভিতোভা আত্মরক্ষা করতে যান। বেঁচে গেছেন, তবে বাঁহাতি এই খেলোয়াড় পাঁচটি আঙুলেই আঘাত পেয়েছেন। ঘটনার পরই টুইটার ও ফেসবুকে ভক্তদের আশ্বস্ত করেছেন কেভিতোভা, ‘এক ব্যক্তি ছুরি নিয়ে আমার অ্যাপার্টমেন্টে হামলা করেছিল। আমি একটু ধাক্কা খেয়েছি কিন্তু ভাগ্য ভালো যে বেঁচে আছি।’ স্থানীয় পুলিশ অপরাধীকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।
পরশুই হাতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে কেভিতোভাকে। তিন ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের অস্ত্রোপচারের পর হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে ফিরেছেন দুবারের উইম্বলডনজয়ী তারকা। কেভিতোভার মুখপাত্র কারেল তেইকাল জানিয়েছেন, ‘হাতে দুই দিন ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখতে হবে। এরপর ছয়-আট সপ্তাহের জন্য স্প্রিন্ট বেঁধে রাখতে হবে। অন্তত তিন মাস পেশিতে চাপ দিতে পারবে না সে। চোটটা গুরুতর, তবে চিকিৎসক বলেছেন পেত্রার বয়স কম। তাই আবারও টেনিস খেলতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’ পায়ের চোটের কারণে হপম্যান কাপ খেলতে পারেননি কেভিতোভা। এ নিয়ে দুঃখও করেছিলেন টুইটারে। এখন তো ফেরার অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘ হলো কেভিতোভার। এএফপি, রয়টার্স।