মুত্তাকি হওয়ার জন্যই রোজাকে ফরজ করা হয়েছে- জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ’ হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর রোজাকে ফরজ করা হয়েছে , যেমনটি ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে করে তোমরা মুত্তাকি হতে পারো। (সূরা বাকারা : ১৮৩) এ আয়াতের মহান আল্লাহ তায়ালা রোজা ফরজ করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করেছেন। তা হলো আমাদেরকে মুত্তাকি তথা আল্লাহভীরু বানানো। এ মাসে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভে সকল ধরণের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি ইবাদত বন্দেগী বাড়িয়ে দিতে হবে। রমজানের পরবর্তী ১১ মাসও যাতে আমরা পাপমুক্ত জীবন-যাপন করতে পারি তার অঙ্গীকার করতে হবে। আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে পেশ ইমাম এসব কথা বলেন।
ঢাকার ডেমরার দারুননাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ’ হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর রোজাকে ফরজ করা হয়েছে , যেমনটি ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে করে তোমরা মুত্তাকি হতে পারো। (সূরা বাকারা : ১৮৩) এ আয়াতের মহান আল্লাহ তায়ালা রোজা ফরজ করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করেছেন। তা হলো আমাদেরকে মুত্তাকি তথা আল্লাহভীরু বানানো।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করছেন: যে ব্যক্তি রোজা রেখে মিথ্যা কথা, পাপের কাজ ও মূর্খতা পরিত্যাগ করল না তার খাবার ও পানীয় পরিহার করায় আল্লাহ তায়ালা কোন দরকার নেই। অর্থাৎ রোজা রেখে যদি পাপের কাজ পরিত্যাগ করতে না পারা যায় তাতে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন না। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভে নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তথা জবান, চোখ, হাত, পা, মুখ, নিজের অন্তরকে সকল ধরণের পাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে। পাশাপাশি ইবাদত বন্দেগী বাড়িয়ে দিতে হবে। রমজানের পরবর্তী ১১ মাসও যাতে আমরা পাপমুক্ত জীবন-যাপন করতে পারি তার অঙ্গীকার করতে হবে। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন: রমজানের প্রথম রাতে একজন ফেরেস্তা এই বলে ডাকতে থাকে হে কল্যাণকামী! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত! বিরত হও। আর মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে রয়েছে জাহান্নাম থেকে বহু লোকের মুক্তি দান। প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে। (ইবনে মাজাহ, তিরমিজী)। তাছাড়া রমজানের প্রত্যেক নফল ইবাদতের সাওয়াব ও মর্যাদা ফরজের সমান। তাই রমজানে সময় নষ্ট না করে রুটিন তৈরী করে ইবাদত করা দরকার। যেমন শেষ রাতে সাহরী খেতে তো উঠতেই হয়, তখন তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা, ফজরের পর সূরা ইয়াছিন তিলাওয়াত করা, মাগরিবের নামাজের পর সূরা ওয়াকিয়া, তারাবির নামাজের পর সূরা মুলক তিলাওয়াত করা। ইশরাক, আউবিনের নামাজ আদায় করা, বিভিন্ন তাসবীহ-তাহলীল করা, জিকির করা, দুরুদ পড়া, বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা ও খতম করা ইত্যাদি ইবাদত বন্দেগীর মধ্যে নিজেকে মশগুল রাখা দরকার। আর আমাদের দেশ ও মুসলিম ভাইদের জন্য দোয়া করা। বিশেষ করে ফিলিস্তিনি মুসলিম ভাইদের জন্য ইফতারের সময় শেষ রাতে ইত্যাদি বিশেষ মুহুর্তে দোয়া করা। আল্লাহ সবাইকে রমজানের সকল প্রকার খায়ের বরকত নসিব করুন। আমিন।