দেশে নিরব-নিস্তব্ধ পরিবেশ বিরাজ করছে : রিজভী
সরকারের সীমাহীন জুলম অত্যাচারের কারনে কবরের মধ্যে যে নিরবতা,নিস্তব্ধ পরিবেশ সেইরকম অবস্থা সরকার দেশে সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন তাদের মত করে করার জন্য কবরের মধ্যে যে নিরবতা নিস্তব্ধ পরিবেশ সেইরকম অবস্থা দেশে বজায় রেখে সরকার সারাদেশে খেয়াল খুশি মত গণ গ্রেফতার করছে এবং নানা রকম নিপীড়ন নির্যাতন করছে। কারণ একটাই ভীতি সৃষ্টি করা, ভোটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাতে ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিতে না যায়। শেখ হাসিনার ভোটারদের দরকার নেই। তার দরকার ভীতি আতঙ্ক। কবরের মধ্যে যে নিস্তব্ধতা সেই নিস্তব্ধতা সারা দেশে জারি করে রাখতে চায়। আর এই কারণে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন লোক দেখানো নির্বাচন করার জন্য তার এসব প্রক্রিয়া।রোববার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন,’আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এই দিবস উপলক্ষে বিএনপি রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির এই মানববন্ধনে আওয়ামী লীগ পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালিয়েছে। হবিগঞ্জে, নারায়ণগঞ্জে আদালতের পাশে বিএনপির মানববন্ধন শুরু হওয়ার সময় আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা পুলিশ ডেকে এনে হামলা চালিয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বৈশিষ্ট্য। আজকের ঘটনায় আবার প্রমাণিত হলো গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ অসংখ্য মানুষকে গুম করেছে,খুন করেছে,অসংখ্য মায়ের কোল খালি করেছে। আর এগুলোর প্রতিবাদ হবে এই প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না এসব কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন,’মিথ্যা প্রহসনের উপর ভর করে তিনি আর কতদিন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখবেন? এবার আর তা টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। আজ বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্বের গণতান্ত্রিকামী দেশ গুলো মানুষ চিনতে পেরেছে কি দুর্বিষহ স্বৈরতন্ত্র বাংলাদেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন,আপনার প্রধানমন্ত্রী কে জিজ্ঞেস করবেন ১৯৯১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসলো তখন সারা দেশে জ্বালাপোড়াও করেনি?বিদেশীদের সাথে বৈঠক করেনি? ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বিএনপিকে যাতে স্বীকৃতি না দেয়া হয় তার জন্য শেখ হাসিনা বিদেশীদের কে বলেনি বৈঠক করেনি?এই কথাগুলো তাকে জিজ্ঞাসা করবেন যদি আওয়ামী লীগ সরকার বেহায়া না হয় তাহলে তিনি স্বীকার করবেন যে কথাগুলো তিনি বলেছেন। আর ডকুমেন্ট কিন্তু সবই আছে।
দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন,’ আজ পিয়াজ ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপনার প্রধানমন্ত্রী কি জানে আজ পিয়াজের কেজি ২০০ টাকার উপরে। ঠিকই হয়ে যান। কিন্তু এগুলোতে তিনি ভ্রুক্ষেপ করে না। মানুষ মরে যাক কষ্ট পাক এতে তার কিছু যায় আসে না। ওনার যে কাজ অবৈধ সত্তা নিয়ে টিকে থাকা ক্ষমতাকে ধরে রাখা আর নিজের দল কে দিয়ে গোটা দেশে লুটপাট করা সেটাই তিনি করে যাচ্ছে। আর এই কারণে শত জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে জাতীয়তাবাদী শক্তি রাজপথে আছে রাজপথে থাকবে।
রিজভী বলেন,’সরকার মনে করেছিল জুলুম নির্যাতন ভয়-ভীতি দেখিয়ে জাতীয়বাদী শক্তিকে দমিয়ে রাখবে এত কিছুর পরেও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে জনগণের ঢল নেমেছিল। চারপাশে গোয়েন্দা পুলিশ গিজ গিজ করেছে তার মধ্যেও জনগণ বুক ফুলিয়ে বিএনপি’র মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছে। সারাদেশে গণ গ্রেপ্তারের মধ্যেও প্রতিটি জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে যদিও বাধা দিয়েছে হামলা করেছে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।