সরকার গদি টিকাতে জনগণ ও দেশের অস্তিত্ব নিয়ে বাজি ধরেছে : গণতন্ত্র মঞ্চ
রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হরতালের সমর্থনে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এ কথা বলেন।
হরতালের সমর্থনে সমাবেশের আগে জাতীয় প্রেসক্লাব, পুরানা পল্টন, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা এলাকায় মিছিল করেন মঞ্চ নেতারা। মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে তাঁরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ এবারো আরেকটি ‘তামাশার’ নির্বাচন করতে চায়,এই সরকার গদি টিকিয়ে রাখার জন্য দেশের মানুষ ও দেশের অস্তিত্ব নিয়ে বাজি ধরছে। সরকার নির্বাচন করলে দেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভয়ংকর কূটনৈতিক সংকটে এবং নানা বিপদের মুখে পড়বে।
মঞ্চের নেতারা নির্বাচনী তফসিল স্থগিত করে, সব বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিয়ে, হাজার হাজার হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ একলা একলা গোল দিতে চায়, প্রতিপক্ষ রাখতে চায় না। প্র্রতিপক্ষকে স্টেডিয়ামের বাইরে রেখেছেন। তাদের জেলখানায় রেখে দিয়েছেন। এখন একতরফা নির্বাচন দিতে চাচ্ছেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে চাই। আলাপ-আলোচনা করে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান দেখতে চাই। এই সরকার পদত্যাগ করে কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার হবে– এ বিষয়ে যদি সরকারি দল নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে বিরোধী দল আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে। সময় এখনো কয়েক দিন আছে। আলোচনা করুন, সিদ্ধান্ত নিন। সোজাপথে হাঁটলে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং আপনাদের বিদায় নেওয়ার সুযোগ আছে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, গণতন্ত্রকামী সব রাজনৈতিক দলসহ দেশের মানুষ এই তফশিল প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ, তারা এবার আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না।