বিরোধীদের তফসিল প্রত্যাখ্যানের প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করল না ভারত

0

বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করা নিয়ে ভারত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। একইভাবে এ কথাও স্বীকার করেনি যে প্রতিবেশী এই দেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের মতপার্থক্য রয়েছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে আরেকবার স্পষ্ট করে দিলেন, সে দেশের নির্বাচন কেমন হবে ও কীভাবে হবে, তা সে দেশের জনগণই ঠিক করবে।

নির্বাচনের তফসিল প্রধান বিরোধী দল প্রত্যাখ্যান করার পর ভারতের মনোভাব কী, সেই প্রশ্ন উঠে আসে ব্রিফিংয়ে। ব্রিফিংয়ে আরও জানতে চাওয়া হয়, নির্বাচন যাতে অংশগ্রহণমূলক হয়, সবাই যাতে অংশ নেয়, সে জন্য অতীতে ভারত সক্রিয় হয়েছিল।

জবাবে মুখপাত্র বলেন, ভারত বারবার একই কথা বলে আসছে, বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে ভোট কেমন হবে, কীভাবে হবে। তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কেমন হবে, তা তাদের ওপরেই নির্ভর করবে। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। অতীতে ভারত কী করেছে, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। এর মধ্য দিয়ে মুখপাত্র স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে সরাসরি কোনো ভূমিকা ভারত নিতে চায় না।

বাংলাদেশের ভোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে ‘মতপার্থক্য’ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সক্রিয়তার প্রসঙ্গ তুলে বলা হয়, তিনি সব দলকে আলোচনার জন্য চিঠি দিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে বলা হয়, ভারত–যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে টু প্লাস টু বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে দুই দেশের মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

অরিন্দম বাগচি এ বিষয়েও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, টু প্লাস টু বৈঠকে আরও অনেক বিষয়ের মতো বাংলাদেশ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেখানে ভারত তার মনোভাব পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে।

অরিন্দম বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। সেখানে কী ঘটে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আমরা আমাদের মনোভাব জানিয়েছি। অন্য দেশেরও নিশ্চয় তাদের নিজস্ব মনোভাব আছে।’ তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে “মতপার্থক্য” শব্দটি ঠিক প্রযোজ্য কি না, বলতে পারব না।’

About Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat