জনগণ একতরফা নির্বাচন হতে দেবে না: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য গোটা জাতির নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে। আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে। কিন্তু দেশের নিপীড়িত জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন হতে দেবে না। বৃহস্পতিবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, সীমালঙ্ঘনকারী আওয়ামী লীগের বেপরোয়া দুর্বৃত্তপনার বিরুদ্ধে জনগণ পথে পথে, সড়কে সড়কে মহাসড়কে মানবপ্রাচীর গড়ে তুলে অবরোধ অব্যাহত রাখবে। কর্তৃত্ববাদী ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্তি ও পরিত্রাণ পেতে একদফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার পর্যন্ত অবরোধ চলবে।
তিনি বলেন, দেশের বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারাসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বের কূটনীতিকদের মন্তব্যের ফ্যাসিজমের ক্রোধ ভয়ানক রূপ লাভ করেছে। পৃথিবীর নিষ্ঠুর এবং স্বৈরতন্ত্রের যেসব দেশ আছে, যেখানে এখনো ফিডালিজম সামন্ত্রতন্ত্র, রাজতন্ত্র বিরাজমান সেখানেও এই ধরনের কথা বলার বা হুমকি দেওয়ার সাহস পায় না।
বিএনপি নেতা বলেন, একজন রাষ্ট্রদূতকে শারীরিক নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আর আওয়ামী মন্ত্রী-নেতারা ক্রমাগতভাবে কদর্য ও ভয়ানক বাণীমালা দিয়ে যাচ্ছেন। অবলীলাক্রমে তারা বাংলাদেশে শুধু তাদের প্রতিপক্ষ নয়, জাতিসংঘ, মানবাধিকার গ্রুপ, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অচল, অবান্তর, বর্জনীয় শব্দে বাক্যবাণ নিক্ষেপ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, মিথ্যা প্রচার নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে অন্যের ওপর দায় চাপাতে র্যাব-পুলিশকে দিয়ে তীব্র দমনপীড়নের কৃতিত্বে আস্ফালনের দ্বারা আওয়ামী লীগ দেশকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
রিজভী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেড় দশকে বাংলাদেশের জনপদ এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্রহীন, মানবাধিকারহীন, মানবিক মর্যাদাহীন, নিষ্ঠুরতার যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে আজকের বাংলাদেশ। রক্তাক্ত, ক্ষত-বিক্ষত মানুষের করুণ আর্তনাদের প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের সমগ্র মানুষ আজ ফিরে পেতে চায় হারানো গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার। দীর্ঘ দেড় দশক ধরে হাজারো অত্যাচার-নিপীড়ন সহ্য করে জনগণ আন্দোলন সংগ্রাম করছে।