একইদিনে ঢাকায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিল আ.লীগ-বিএনপি
এবার একইদিনে ঢাকায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঢাকার নয়াপল্টনে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপির। অপর দিকে বুধবার সন্ধ্যায় “সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ”-এর কর্মসূচি ঘোষণা করলো আওয়ামী লীগও।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালায়ের সমানে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ‘বিএনপি গণগ্রেফতার, নেতাকর্মীদের নির্যাতন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সমাবেশে ডাক দেয় বিএনপি। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সমাবেশের সভাপতিত্ব করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। সভা সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
একই দিনে কেন সমাবেশ জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বাংলাভিশনকে বলেন, ‘আমরা নিয়মিতই সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তির সমাবেশে করে আসছি। কোনো দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি নেই। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কেউ রাজপথে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার পর আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে পতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগের এখন নিজস্ব কোনো কর্মসূচি নেই। তাই তারা বিএনপির পিছে পিছে ঘুরে। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিপুল জনসম্পৃক্ততা দেখে ঈর্শান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। এখন বিএনপি কোনো কর্মসূচি ডাকলে তারা (আওয়ামী লীগ) পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে; আর সমাবেশের নাম দিচ্ছে ‘শান্তি সমাবেশ’। তাদের (আওয়ামী লীগ) এই শান্তির সমাবেশের নাম শুনলেই আমাদের মনে ভেসে উঠে পাকবাহিনীর গড়া ‘শান্তি বাহিনী’র কথা। যারা এদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর অত্যাচারের স্ট্রিম রুলার চালিয়েছে। তাদের এই ধরনের কর্মসূচি দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তাদের এসব উষ্কানিতে আমরা পা দিবো না। ‘শান্তির সমাবেশের’ নামে তারা দেশে অশান্তি কর পরিবেশ সৃষ্টি করছে।