ভারত বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন চায়,দেশে ফিরে জি এম কাদের

0
Array

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে আগামীতে একটি ভালো নির্বাচন যাতে হয়, নির্বাচনের আগে পরে যাতে কোনো ধরনের সহিংসতার ঘটনা না ঘটে তা প্রত্যাশা করে ভারত। বুধবার সন্ধ্যায় ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিদ্যমান মতদ্বৈততার বিষয়ে ভারত কোনো বার্তা দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা এ বিষয়ে বলেছে, এটি বাংলাদেশের বিষয়। দলগুলো আলাপ-আলোচনা করে এটি সমাধান করবে। এক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি ভূমিকা রাখতে পারে বলেও তারা বলেছে। তিন দিনের ভারত সফরে জি এম কাদেরের সফরসঙ্গী ছিলেন স্ত্রী শেরিফা কাদের ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত মাসরুর মাওলা।

সফরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, আমি ভারত সরকারের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম। গুরুত্বপূর্ণ অনেকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। কাদের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে তা বলতে পারবো না তাদের অনুমতি ছাড়া। জাতীয় পার্টি সম্পর্কে উনাদের ধারণা ভালো। উনাদের আস্থা আছে জাতীয় পার্টির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সৌহার্দপূর্ণ থাকবে।

আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, উনারা একটা ভালো নির্বাচন দেখতে চান। সময়মতো যাতে হয়।

নির্বাচনের আগে পরে যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না হয় সেটা তারা চান। সবাই মিলে যাতে আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি করি যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচন হয়। কারণ এখানে তাদের নানা ধরনের বিনিয়োগ আছে। তারা আশা করেন, বাংলাদেশে সার্বিকভাবে সুন্দর একটি নির্বাচনের মাধ্যমে যাতে পরবর্তী সরকার গঠিত হয় তাহলে তাদের পক্ষে এসব কাজকর্ম করা সহজ হবে। এবং তারা প্রত্যাশা করেন যাতে আমরা সবাই মিলে সে রকম একটা পরিবেশ তৈরি করি, সুন্দর একটা নির্বাচন হয় এবং আগে পরে যাতে কোনো সহিংসতা না হয়। কোনো ধরনের অরাজকতা যাতে না হয়, দেশের স্থিতিশীলতা যাতে নষ্ট না হয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতদ্বৈততা রয়েছে এ বিষয়ে ভারতের তরফে কিছু বলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না ভারত বলেছে এটা আপনাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমরা চাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আপনারা এর সুরাহা করবেন। আমাদেরকে বলেছেন, যেহেতু সবার কাছে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, আপনারা যদি সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সবাইকে একসঙ্গে করে একটা সুন্দর নির্বাচন করতে পারেন তাহলে আমরা খুশি হবো।

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভূমিকা কী হবে এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা আরও কিছুদিন দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নেবো।

সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান ঘোষণার বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বড় ভাইকে আমরা পিতার মতো দেখতাম। তেমনি ছোট বেলা থেকে বয়সে যাই হোক আমার ভাবীকেও (রওশন এরশাদ) আমরা মায়ের মতো দেখেছি। ওনার সঙ্গে আমার কখনো দ্বন্দ্ব ছিল না, এখনো নেই।

আমার জানা মতে ওগুলো তিনি নিজের ইচ্ছা বা জেনেশুনে দিচ্ছেন না। এটা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করা। জিএম কাদের বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে কিছু লোক এটা করছেন। তারা দেবর-ভাবীর দ্বন্দ্বসহ বিভিন্ন কথা বলে বিভিন্নভাবে উস্কে দিচ্ছেন। দলটা যাতে শক্তিশালীভাবে দাঁড়াতে না পারে, ইমেজ সংকট তৈরি করে যেন দলটা নিচে নেমে যায় তার উদ্দেশ্যে এসব করা হয়। একটা ভাবমূর্তির সংকট হয় যে দলের মধ্যে একতা নেই, বিভাজিত, শক্তি নেই, নীতির ঠিক নেই। এক একজন এক এক কথা বলেন। তিনি বলেন, এ ধরনের দুই-চার ভাগ করে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। দলের নেতাকর্মী শুধু নয় সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা এটার তীব্র ভাষায় নিন্দা করি। আমরা বিশ্বাস করি তিনি (রওশন এরশাদ) এটা করেননি। ওনাকে দিয়ে যারা করানোর চেষ্টা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওদিকে জাপা চেয়ারম্যানকে বরণ করতে বিমানবন্দরে দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

About Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat
  • Click to Chat