বিএনপিপন্থি ১৪ আইনজীবীর জামিন, ৪ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় বিএনপিপন্থি ১৪ আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাদের মধ্যে দলটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রয়েছেন। একই মামলায় ৪ আইনজীবীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।এর আগে গতকাল রোববার ১৮ আইনজীবীদের পক্ষে জামিন আবেদন করে তা শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়। ওইদিন আদালত শুনানির জন্য সোমবার (৭ আগস্ট) দিন ঠিক করেন।
আদালতে আজ ১৮ আইনজীবীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. রফিক উল্লাহ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় ১৮ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় আইনজীবী কায়সার কামাল, এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, মো. কাইয়ুম, মো. সাগর হোসেন, মো. রেজাউল করিম রেজা, মো. উজ্জ্বল হোসেন, মাহবুবুর রহমান খান, মো. রবিউল আলম সৈকত, নজরুল ইসলাম ছোটন, রেদোয়ান আহমেদ রানজিব, মো. মাহমুদ হাসান, মো. কামাল হোসেন, মো. আনিসুর রহমান (রায়হান) ও খালেদ মাহমুদুর রহমান আদনানকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবী নামধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর ক্যাডার। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সদস্যরা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে শান্তি সমাবেশ করছিলেন। দুপুর ২টায় আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে পরিষদ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। আসামিরা সভাপতি ও সম্পাদক কক্ষের জানালার গ্লাস, চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য মালামাল ভাঙচুর করে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। এছাড়া আইনজীবীদের মূল্যবান মোবাইল, ঘড়ি ও মানিব্যাগ খোয়া যায়।