মজার কিছু কৌতুক!
০১.
বাবা ছেলেকে নতুন জুতা কিনে দিয়ে বললো, সিড়ি দিয়ে ওঠার সময় দুইটা করে উঠবি। এতে জুতার ওপর চাপ কমবে। জুতা বেশিদিন টিকবে। ছেলেতো বাবার চেয়ে আরো এক ডিগ্রি উপরে। সে বাবাকে খুশি করার জন্য তিনটা সিড়ি করে উঠছে। উপরে ওঠার পর বাবা ছেলের গালে মারলো জোরে এক চড়। ছেলের চিৎকারে পাশের বাসার মহিলা এসে বললো, এতটুকু বাচ্চাকে কেউ এভাবে মারে? কেনো মেরেছেন?
বাবা : ওকে বলেছি দুইটা সিড়ি করে উঠবি, তাহলে জুতা বেশিদিন টিকবে আর ও উঠলো তিনটা করে।
মহিলা : ও তো ঠিকই করেছে। আপনার তো খুশি হওয়ার কথা।
বাবা : খুশি হবো কিভাবে বলেন, ও ২০০ টাকার জুতার তলা বাঁচাতে গিয়ে ৮০০ টাকার প্যান্টের তলা ছিঁড়ে ফেলেছে।
০২.
পাত্রীপক্ষের লোক : তো, তুমি আমাদের মেয়েকে বিয়ে করে আমাদের জামাই হতে চাও?
পাত্র : আসলে ঠিক তা নয়। তবে বিয়ে না করে অন্যভাবে জামাই হওয়ার উপায় থাকলে বলতে পারেন।
০৩.
সদ্য বিবাহিত এক তরুণীকে তার বান্ধবী জিজ্ঞেস করলো, কিরে, নতুন দাম্পত্য-জীবন কেমন লাগছে?
তরুণী জবাবে বললো, আমি তো বিয়ের আগে আর বিয়ের পরের অবস্থার মধ্যে তেমন কিছুই পার্থক্য দেখছি না।
আগেও আমাকে অর্ধেক রাত জেগে কাটাতে হতো, যতক্ষণ না ও বাড়ি যাওয়ার জন্য ওঠে; এখনো আমাকে অর্ধেক রাত জেগে অপেক্ষায় থাকতে হয়, কখন ও ফেরে।
০৪.
স্বামীর মৃত্যুর কয়দিন পরেই এক মহিলা তার দেবরকে বিয়ে করলেন। তার বান্ধবীদের অনেকেই ব্যাপারটা মনঃক্ষুণ্ন হলো। একদিন মহিলার বাড়িতে বাড়িতে এসে তার বান্ধবীরা খেয়াল করলো, শোবার ঘরের দেয়ালে তার মৃত স্বামীর বিশাল একটা ছবি টানানো। সবাই খুব খুশি হলো ছবি দেখে। এদের মধ্যে একজন মহিলার স্বামীকে চিনতো না। ছবি দেখে তাই সে জানতে চাইলো, ছবিটা কার? মহিলা বললেন, আমার ভাশুরের। কয়েকদিন আগে মারা গেছেন!
০৫.
রাতে মলি শাওনকে ফোন করে ফিসফিস করে বললো, কেউ বাসায় নেই, ইচ্ছা হলে আসতে পারো। শাওন দ্রুত দৌড়ে গিয়ে দেখলো, আসলেই কেউ নেই বাসায়! বাসার ফটকে বড় তালা দেয়া।
০৬.
হাবলু রাস্তা দিয়ে গাড়ি হাঁকিয়ে যাচ্ছে। একসময় রাস্তার লাল বাতি জ্বলে উঠলো। কিন্তু হাবলুর থামার কোনো নামগন্ধ নেই। লাল বাতি পেরোতেই ট্রাফিক পুলিশ হাবলুকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, রাস্তায় লাল বাতি জ্বলে উঠেছে, দেখতে পারছেন না? লাল বাতি জ্বলে উঠলে যে থামতে হয়, তাও জানেন না নাকি?
হাবলু : লাল বাতি জ্বলে ওঠা তো দেখেছি, কিন্তু আপনি যে দাঁড়িয়ে ছিলেন এটা দেখতে পারিনি, স্যার।