রান্নঘরের টিপস (২)
রান্নাঘরের টুকিটাকি কিছু টিপস জানা থাকলে জরুরি ও প্রয়োজনীয় মুহূর্তে কাজে লাগানো যায়, সময়ও বাঁচে। কর্মব্যস্ত জীবনে নিজেদের প্রয়োজনে আমাদের সবাইকেই কমবেশি রান্না করতে হয়। একটা সময় ছিল, যখন শুধু মেয়েরাই রান্নার কাজ করতো। এখন সময় পাল্টে গেছে। নিজের প্রয়োজনে ছেলেমেয়ে উভয়ইকেই রান্না করতে হয়।
রান্নাবান্না আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ অংশ। মানুষের জীবনযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে পাল্টাচ্ছে রান্নাবান্নার ধরন ও কৌশল। আসলে রান্না একটা আর্ট। এটাকে কখনও ছোট করে দেখা উচিত নয়। সবাই এই কাজটা পারেও না। এর জন্য দরকার প্রচুর বুদ্ধি, অনুমান ক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা। আবার অনেক সময় সাজিয়ে-গুছিয়ে রান্না করা সম্ভব হয় না। ঝটপট রান্নার কাজটা সেরে যেতে হয় অন্য কাজে। তাই বলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। চলুন, তাড়াতাড়ি রান্না করার কিছু টিপস জেনে নিইG
১. আলু ও ডিম একসঙ্গে সিদ্ধ করুন। দুটো দুই কাজে ব্যবহার করলেও সিদ্ধ তাড়াতাড়ি হবে।
২. অনেক সময়ই তাড়াতাড়ি স্যুপ রান্না করলে পাতলা হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে দুটি সিদ্ধ আলু ম্যাশ করে স্যুপে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। স্যুপ ঘন হবে।
৩. ডাল তাড়াতাড়ি রান্না করতে আগের রাতেই ভিজিয়ে রাখুন।
৪. মসলাপাতি তাড়াতাড়ি খুঁজে পেতে কৌটার গায়ে নাম লিখে রাখুন।
৫. পরের দিন কী রান্না করবেন, তা আগের রাতেই ঠিকঠাক করে প্রস্তুতি নিন। তাহলে অল্প সময়ে রান্না হবে।
৬. রান্না করার আগে অবশ্যই মাছ ও সবজির কম্বিনেশনের ব্যাপারে লক্ষ্য রাখবেন।
৭. মাছ রান্না করে হাতের কাছে কাঁচা ধনিয়া পাতা থাকলে তা কুচি করে কেটে বিছিয়ে দিন, স্বাদ দুইশ’ গুন বেড়ে যাবে।
৮. ডাল বাগার দিতে রসুন কুচি তেলে ভেজে ডালে দিয়ে দিলেই হবে।
৯. মাংস-জাতীয় রান্না করে শেষে বেরেস্তা (পেঁয়াজ কুচি ভাজি) দিয়ে দিন। স্বাদ বেড়ে যাবে।
১০. ডিম সেদ্ধ করতে পানিতে সামান্য লবণ দিন। ডিম খেতে সুস্বাদু হবে। গরমাবস্থায় ডিমের খোসা ছাড়াবেন না, ঠাণ্ডা করে তারপর খোসা ছাড়ুন, ডিম নষ্ট হবে না।