বাড়িতে তুলসী গাছ রাখুন

বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগেও মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য ভেষজ পদ্ধতি বা বিভিন্ন গাছ-গাছালির ওপর নির্ভরশীল। এর অন্যতম কারণ ভেষজ পদ্ধতিতে চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক কম বা নেই বললেই চলে।
তুলসী শব্দের অর্থ যার তুলনা নাই। বাংলা ভাষায় তুলসী নিয়ে আরেকটি কথা খুব প্রচলিত। ধোয়া তুলসী পাতা, মানে একবারে নির্ভেজাল।
বহুবিধ ব্যবহারের জন্য তুলসী পাতাকে বলা হয় ‘কুইন অব হার্ব’ বা ওষধি গাছের রানি। এই ওষধি পাতা শুধু শীতকাল নয়, ১২ মাসই ব্যবহারের উপযোগী। তুলসী গাছের বাতাসও যথেষ্ট উপকারী। তাই সম্ভব হলে বাসার ব্যালকনিতে বা ফুলের টবে অন্তত একটি তুলসী গাছ লাগান। এছাড়াও রয়েছে অনেক উপকার-
পরীক্ষায় দেখা গেছে যে তুলসী গাছ একমাত্র উদ্ভিদ যা দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে বায়ু বিশুদ্ধ রাখে। তাই রাতের বেলায় তুলসীতলায় শয়ন করাও ব্যক্তির জন্য উপকারী। এছাড়া তুলসী গাছ ভূমি ক্ষয়রোধক এবং তুলসী গাছ লাগালে তা মশা কীটপতঙ্গ ও সাপ থেকে দূরে রাখে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায়ও তুলসী অ্যান্টিভাইরাস বলে প্রমাণিত। প্রবাদ আছে, যে বাড়িতে তুলসী গাছ থাকে সে বাড়িতে কোন ভাইরাস ইনফেকশনজনিত রোগব্যাধি থাকে না বা হয় না। কারণ তুলসী গাছের হাওয়া ভাইরাসের জীবানুমুক্ত করে এবং দূর করে ব্যাকটেরিয়াও।