আইএমএফ’র কাছে ৫৯১১ কোটি টাকা জরুরি সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জরুরি সহায়তা হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৫ হাজার ৯১১ কোটি টাকা তথা ৭০ কোটি মার্কিন ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ।শুক্রবার (১০ এপ্রিল) নিক্কেই এশিয়ান রিভিউয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএমএফের প্রতিনিধি র্যাগনার গুডমান্ডসন’র নিক্কেই-কে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যে জরুরি সহায়তা চেয়েছে, সেটি আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি। জরুরি এই সহায়তার মানে হলো- অর্থনীতি সচল রাখা, মানুষের, বিশেষ করে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ লাঘব এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখা।
প্রাণঘাতী করোনার আর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে গত ৫ এপ্রিল ৭২ হাজার কোটি ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিক্কেই’র প্রতিবেদনে এ তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি ফজলে ফাহিমের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘সরকারের ঘোষণা করা প্যাকেজের লক্ষ্য তারল্য বাড়ানো, বেকারত্ব হ্রাস করা, ব্যবসায়ীক কার্যক্রম সচল রাখা।’
ফজলে ফাহিম নিক্কেই-কে বলেছেন, ফান্ডের বিষয়ে এফবিসিসিআই, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। যাতে ব্যাংক ঋণের এক্সেস নেই এমন ছোট কোম্পানি প্রণোদনা পায়।
এদিকে প্রাণঘাতী করেনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির কারণে ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর বিশ্ব অর্থনীতি সবচেয়ে খারপ সময় পার করছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।
তিনি বলেছেন, লকডাউনের কারণে বহুদেশের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে। উদীয়মান দেশের অর্থনীতি এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।