সহজীকরণ পদ্ধতিতে মানুষকে টিকার আওতায় আনার কিছু পরামর্শ : মোঃ আফজল হোসেন

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমীপে সহজীকরণ পদ্ধতিতে মানুষকে টিকার আওতায় আনার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল ওনার্স এসোসিয়েশের চেয়ারম্যান মোঃ আফজল হোসেন।
টেক্সটাইল মিল ওনার্স এসোসিয়েশের চেয়ারম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, আজ পত্র পত্রিকায় এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। করোনার টিকা কার্ড ছাড়া কেউ বাইরে যাওয়া যাবে না। অবশ্য এই বক্তব্য পরে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কথাগুলো যত সহজ ভাষায় বলা হলো তা মানানো যে কত কঠিন একবার চিন্তা করে দেখুন? আইনটা প্রয়োগের আগে একবার চিন্তা করে দেখুন, ইহার ব্যর্থতার প্রতিফলন কী দাড়াতে পারে? তাই ভেবে দেখুন এর চেয়ে সহজীকরণ উপায় অবলম্বন করে মানুষকে টিকার আওতায় আনা যায় কি না?
এ বিষয়ে তিনি কিছু ধারণা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবগত করতে চেয়েছেন:.
*প্রথমত টিকার পর্যাপ্ত মজুদ ও দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করুণ।
*প্রত্যেক অফিস, দোকান, মিল, কারখানা খোলার আগে তাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন টিকা নিশ্চিত করে খোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করুণ।
* কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষক ছাত্র সহ সকলকে টিকা দেওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করুণ।
* সকল গার্মেন্টেস কারখানার মালিকসহ সকল কর্মচারীর টিকার আওতায় এনে চালু রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করুণ।
* ইউনিয়ন পর্যায়ে চেয়ারম্যান, মেম্বারদের তত্ত্বাবধানে সকলের টিকা নিশ্চিত করার চেষ্টা করুণ।
তিনি আরো বলেন, এরপর কিছু কিছু কঠোর আইন ধাপে ধাপে প্রয়োগ করা যেতে পারে।যেমন- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যে কোন সময় যে কোন দোকান বা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাদের সকলের টিকা দেওয়া আছে কিনা না, তা যাচাই করে দেখা। ইহাতে যদি কারোর টিকা না দেওয়া থাকে তার উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে সেজন্য যে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। ইউনিয়ন পর্যায়ে যদি এরূপ টিকা না নেওয়া লোক পাওয়া যায় তারা উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারে তাদেরও সাহায্য সহযোগীতা বন্ধ করে দেবে অথবা আর্থিক দন্ড করতে পারে। এমনি কিছু ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হতে পারে।