গাজীপুরে দ্রুতযান এক্সপ্রেসের চার বগি লাইনচ্যুত, আহত ১২

গাজীপুরের ধীরাশ্রম স্টেশনের আউটার সিগন্যালের কাছে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় অভিমুখী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের চরটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী গাজীপুর ঢাকা-ট্রেন প্যাসেঞ্জার ফোরামের স্বেচ্ছাসেবকরা। আহতদের মধ্যে পুরুষ নয়জন ও নারী তিন জন।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকৎিসক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত শান্তু নূর (২০), মেহেদি হাসান (২২), ইজাজ নাকিব নূর (১৭), আহসান হাবিব (২০), ফাহিম (১৯), সামি (২০), জাকিয়া সুলতানা (২৩), রোকেয়া (১৯), মল্লিকা ঘোষকে (২৫) হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে জাকিয়া, রোকেয়া, ফাহিমকে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই ট্রেনে যাত্রী।
ট্রেনে থাকা যাত্রী লিটন জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে ট্রেনটি গাজীপুরের ধীরাশ্রম স্টেশন পর হওয়ার আগেই মাঝখান থেকে চারটি বগি লাইনচ্যুৎ হয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, ট্রেনটির ঘ, ঙ, চ ও ছ বগি লাইনচ্যুত হয়। এর মধ্যে চ বগি রেললাইন থেকে উল্টে পাশে কাত হয়ে পড়ে যায়।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রেল পুলিশ, সদর মেট্রো থানার পুলিশ ও জয়দেবপুুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং উদ্ধার কাজ শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত সাড়ে ১০টায় পাঁচজন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানান তারা।
তাদের গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে পাঠানো হয়েছে।
স্টেশন মাস্টার জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রেনটি উদ্ধারের জন্য ঢাকায় উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন খবর দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকারী ট্রেন আসলে লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার কাজ শুরু হবে।
এদিকে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি পর জয়দেবপুর স্টেশনে এসে আটকা পড়ে। পরে ওই ট্রেনের যাত্রীরা বাসে ও বিকল্প উপায়ে ঢাকার দিকে চলে যান।
স্টেশন মাস্টার আরো জানান, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি যেহেতু জয়দেবপুর স্টেশনে আছে, সেহেতু ওই ট্রেনটির ইঞ্জিনটি ঘুরিয়ে দ্রুতযান এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ওই ট্রেনে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পাঠানোর জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বিকট শব্দে ট্রেনের বগিগুলো লাইনচ্যুত হওয়ার পর স্থানীয়রা দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসেন। ট্রেনের ভেতরে থাকা যাত্রী বিশেষ করে নারী ও শিশুরা আতঙ্কে চিৎকার করছিলেন।