'বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা হয়েছে। কিন্তু বিচারকরা স্বাধীন নয়। বিচারকদেরকে আইনের কাঠামোর মধ্যে চলতে হয়। মামলার দীর্ঘসূত্রিতা ও জট কমাতে প্রয়োজনীয় বিচারক নিয়োগের ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থমন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েও কোনো সমাধান পাইনি, বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলে জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিচার বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে ‘ল’ কমিশন রয়েছে সেটিও অকার্যকর করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, ল্যান্ড সার্ভে মামলার বিষয় নিয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করে মামলাগুলো জেলা জজদের অধীনে দিয়ে দেয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ হয়নি। কেনো হয়নি, বিষয়টি বুঝতে না পারলেও এজন্য বিচার বিভাগকে অকার্যকর করতে একটি মহলের পাঁয়তারাকে দায়ি করলেন প্রধান বিচারপতি।
 
বিচার বিভাগ যাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাদের বিভিন্ন কাজে দীর্ঘসূত্রিতার কথা উল্লেখ করে এসকে সিন্হা বলেন, এসব বিষয় নিয়ে কথা বললে তাকে বলা হয় ‘প্রধান বিচারপতি বেশি কথা বলেন।’ তিনি বলেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে যারা দেশে সন্ত্রাস করতে চায় তাদের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকারের একার পক্ষে সন্ত্রাস দমন করা সম্ভব নয়। এজন্য আইনজীবী, বিচারকসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি আব্দুল বাকী মিয়া, আব্দুস সালাম, নুরুল ইসলাম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. জাকির হোসেন, টাঙ্গাইলের সিনিয়র জেলা জজ মো. রবিউল হাসান। 

এর আগে প্রধান বিচারপতি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং মামলার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় বিচার বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে বিকেলে তিনি জজ কোট ভবনের দ্বিতীয় তলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। 

টাঙ্গাইল থেকে মো. আরিফুজ্জামান আরিফ